টালিউড অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জির কথা শুনে অঝোরে কাঁদলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে বিনোদন আড্ডায় অংশ নিয়ে সহকর্মী জয়া আহসানের আবেগী কথা শুনেও কেঁদে ফেলেন অভিনেতা।
অনুষ্ঠানে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে কিছু বলার অনুরোধ জানানো হয় প্রসেনজিৎ ও জয়াকে। অভিনেতার উদ্দেশে তাদের ভিডিও বার্তা মন ছুঁয়ে যায় অভিনেতার। এ ভিডিও বার্তায় জয়ার কথা শুনে অভিনেতার চোখ ছলছল করলেও প্রসেনজিতের মুখে প্রশংসা শুনে কেঁদে ফেলেন চঞ্চল।
প্রসেনজিৎ বলেন, আসলে আজ যে মানুষটাকে নিয়ে কথা বলতে বলা হয়েছে সে আমার প্রাণের মানুষ, মনের মানুষ। তার নাম চঞ্চল চৌধুরী। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ওর অভিনয় নিয়ে আলোচনা করার যোগ্যতা আমার আছে কি না তা জানি না। কারণ অভিনয় জীবনে ওর বেড়ে ওঠা আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি।
প্রসেনজিৎ আরও বলেন, আমাদের প্রথম আলাপ গৌতম ঘোষের ‘মনের মানুষ’ ছবিটিতে। গৌতমদা যখনই ওর নাম বলেছিলেন, খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই ওর ‘মনপুরা’ সিনেমাটা আমি দেখেছিলাম। সিনেমা দেখে আমি বলেছিলাম, বাহ্ ছেলেটি কে? আমি তখন জানতাম না ওর সঙ্গে আমার এত ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি হবে। ‘মনের মানুষ’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করার পর থেকে আমরা প্রায়ই মাসে একাধিকবার ফোনে কথা বলি, অভিনয়ের পাশাপাশি নিজেদের জীবন নিয়েও আলোচনা করি।
টালিউড অভিনেতা বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি ওকে অনেক ভালোবাসি। অনেক শ্রদ্ধাও করি। কারণ ওর ‘হাওয়া ’ দেখেছি। ওটিটির কাজ দেখেছি। নাটকের কাজও দেখেছি। কিছুদিন আগে বাংলায় ‘পদাতিক’ সিনেমায় কাজ করেছে, যে অভিনয় দেখে আমি স্তম্ভিত।
সবশেষে দুই বাংলার জনপ্রিয় এ অভিনেতা বলেন, আসলে ও যদি বয়সে আমার ছোট না হতো আমি অবশ্যই ওর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতাম। কারণ মৃণাল চরিত্রটিতে অভিনয় করাটা ততটা সহজ ছিল না। আমি গর্বিত, এমন একজন অভিনেতাকে আমি চিনি। আর মানুষ চঞ্চল একজন অসাধারণ ব্যক্তি। আমি মনে করি, ভালো অভিনেতা হতে হলে ভেতরে ভেতরে ভালো মানুষ হওয়া খুব প্রয়োজন। আর আমার মনে হয় সেটাই চঞ্চল চৌধুরী।
প্রসেনজিতের এসব কথা শেষ না হতেই অঝোরে কেঁদে ফেলেন চঞ্চল। এরপর অভিনেত্রী জয়া আহসানও চঞ্চলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন।
জয়া বলেন, চঞ্চল চৌধুরী শুধু অভিনেতা নয়, অভিনয়ের একটা প্রতিষ্ঠান। একজন সহকর্মী হিসেবে তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। মানুষ হিসেবে একজন অভিনয়শিল্পীর কেমন হওয়া উচিত আমি সেটাও তার কাছ থেকে শিখেছি। এমন একজনকে সহশিল্পী হিসেবে পেয়ে আমি গর্বিত, কারণ তিনি আমার কাছে একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। কারণ তার মতো অভিনয়শিল্পী তৈরি হওয়া এত সহজ বিষয় নয়।
কান্না থামিয়ে চঞ্চল বলেন, আসলে এত প্রশংসা শুনে আমার মাথা কাজ করছে না। আমি অভিনয় করি। এটা আমার পেশা, নেশা, ভালোবাসা সবই ঠিক আছে। কিন্তু এতটা সম্মান আমি বুম্মা দার কাছ থেকে পাবো, আমি স্বপ্নেও তা চিন্তা করিনি। জয়াও আমাকে নিয়ে অনেক প্রশংসা করলো। আমি আসলেই আবেগে আপ্লুত হয়ে গেছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।