বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বাড়িতে ও অফিসে এসি ব্যবহার। বর্ষায় ঘরের আর্দ্রতা ঠিক রেখে স্বস্তির পরিবেশ পেতে এসি ব্যবহার করে থাকেন। অনেকেই বছরের পর বছর একই এসি ব্যবহার করেন। হয়তো তেমন কোনো সমস্যা দেখা যায় না। কিন্তু কখনো কি মনে হয়েছে পুরোনো এসি আপনার বাড়ির বিদ্যুতের খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে কিনা?
আপনার মনে এমন প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। আপনি ঠিকই ধারণা করেছেন। কারণ সাধারণভাবে এসির আয়ু ১০-১৫ বছর হয়ে থাকে। কিন্তু ঘরের এসি যদি ১০ বছরের পুরোনো হয়ে যায়, তাহলে তা বদলানোর কথা আপনাকে ভাবতে হবে। এতে বিদ্যুতের খরচ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
পুরোনো এসিতে বিদ্যুতের খরচ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কম্প্রেসর, মোটর ও কয়েলের মতো এসির গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশগুলো ক্ষয় হতে থাকে। এসির পাওয়ার থাকে না। তাই ঘর ঠান্ডা রাখতে এসিকে কঠোরভাবে কাজ করতে হয়।
আর পুরোনো এসির মধ্যে ইনভার্টার টেকনোলজি থাকে না। তাপমাত্রা অনুযায়ী কম্প্রেসর স্পিডের সঙ্গে এটি অ্যাডজাস্ট করে নেয়। সে কারণে বিদ্যুতের অপচয় হ্রাস পেয়ে যায়। সময়ে সময়ে যদি এসির সার্ভিসিং করানো না হয়, তাহলে এসির মধ্যে ধুলো, ময়লা ও মরিচার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
এ ছাড়া গ্যাস লিকেজের মতো সমস্যাও দেখা দেয়। এর ফলে এসির কুলিং পাওয়ারও ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। আর তার ওপর দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে যেতে হয় এসিকে। অর্থাৎ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়ে এসির ওপর।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে— পুরোনো এসি থেকে রেফ্রিজারেন্ট লিক হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি, যা সিস্টেমের ওপর চাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে পাওয়ার কনজাম্পশন বা বিদ্যুতের অপচয়ও বৃদ্ধি পায়।
আর পুরোনো এসিতে অনেক সময় লোয়ার স্টার রেটিং কিংবা কম স্টার রেটিং থাকে। এই পুরোনো এসিগুলো আসলে কম এনার্জি এফিশিয়েন্ট। ফলে তা আরও বেশি পাওয়ার কনজাম্পশন করে। অর্থাৎ বিদ্যুতের অপচয় বাড়ে।
তাই যদি ১০ বছরের বেশি পুরোনো হয় এসি, তাহলে নতুন করে কেনা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এতে বিদ্যুতের বিলের বোঝা তো কমবেই, সেই সঙ্গে মিলবে ভালো কুলিংয়ের সুবিধাও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।