জুমবাংলা ডেস্ক : ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে নিয়ে চলছে তোলপাড়। সামাজিক মাধ্যম কিংবা বাস্তব মাধ্যম-দুই মাধ্যমেই এখন আলোচিত টপিক এই শিক্ষক। সম্প্রতি সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে হিজড়া সম্প্রদায়কে নিয়ে করা একটি অধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন এই শিক্ষক।
গত শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন শিক্ষক আসিফ মাহতাব।
শিক্ষক ফোরামের ব্যানারে এই সম্মেলন হলেও এখানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে। এসময় তিনি এই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ’ থেকে ‘শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। এ দৃশ্যের একটি ভিডিও মাহতাব তার নিজের ফেসবুকে আপলোড করেন। এরপর সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
এই প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে সামাজিক মাধ্যমে আসিফ মাহতাবের ফেসবুকের পুরনো বেশকিছু ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে। ওইসব ছবিতে আসিফকে দেখা গেছে বান্ধবীদের সঙ্গে। যেখানে আসিফ বলছেন, চলো একসঙ্গে লড়াই করি। একটি ছবিতে শিক্ষক আসিফের হাতে পানীয়র গ্লাস দেখা যায়। এসব ছবি ছড়িয়ে নেটিজেনরা আসিফের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, বলছেন কাসিফ দ্বৈত আচরণ করছেন।
এদিকে, পাঠ্যবই ছেঁড়ায় শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে আর ক্লাস নিতে না যাওয়ার জন্য মুঠোফোনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক আসিফ জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত তিনিও আর ক্লাসে ফিরছেন না।
ওই শিক্ষককে পাঠদান থেকে বিরত রাখায় প্রতিবাদ জানিয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ। মঙ্গলবার সকালে তারা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুল বাড্ডা প্রধান গেটে এসে জমায়েত হয়। এ সময় তারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে নিজেদের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।