সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অনলাইনে বদলি ও পদায়নে আবেদনের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা কার্যকর করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ প্রক্রিয়া আরও সহজ ও স্বচ্ছ করতে নতুন অনলাইন নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৬ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ–১ শাখা থেকে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘সরকারি কলেজের শিক্ষক বদলি/পদায়ন নীতিমালা, ২০২৫’ গত ৩০ জুন থেকে কার্যকর হয়েছে। এর আওতায় প্রভাষক থেকে অধ্যাপক এবং অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদ পর্যন্ত বদলি ও পদায়নের আবেদন এখন থেকে সম্পূর্ণ অনলাইনে করতে হবে।
আবেদনকারীদের নিজের পিডিএস (Personnel Data Sheet) হালনাগাদ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.shed.gov.bd) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dshe.gov.bd) এবং (www.emis.gov.bd) লিংকের নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন জমা দিতে হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, প্রভাষক থেকে অধ্যাপক পর্যন্ত সব পদের বদলি ও পদায়নের ক্ষমতা থাকবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে। অধ্যক্ষ বা প্রতিষ্ঠান প্রধানের মাধ্যমে প্রতিটি আবেদন অনলাইনে অগ্রায়ণ করতে হবে, কোনো আবেদন পেন্ডিং রাখা যাবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অনলাইন ব্যতীত অন্য কোনো উপায়ে পাঠানো আবেদন বিবেচনা করা হবে না। প্রতিটি আবেদন প্রতি ১৫ দিন অন্তর মূল্যায়ন করে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। একজন শিক্ষক একবার আবেদন করলে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন না।
এ ছাড়া আবেদনকারী সর্বোচ্চ পাঁচটি কলেজ পছন্দক্রমে উল্লেখ করতে পারবেন। অনুমোদিত আবেদন দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। তবে নন-ক্যাডার কর্মকর্তা কোনো ক্যাডার পদে বদলি–পদায়নের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, বদলির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক তদবির, আধা–সরকারি পত্র (ডিও লেটার) বা অন্য কোনোভাবে চাপ প্রয়োগকে অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করা হবে। অসম্পূর্ণ বা হালনাগাদহীন পিডিএস গ্রহণ করা হবে না এবং বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।