বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায় বহু না বলা কথা, কিছু কাহিনী। কখনও তা সত্য, কখনও বা মিথ্যা। কিন্তু তারপরেও চারিদিক জুড়ে থাকে আলোর ঝলকানি। চাপা পড়ে যায় কিছু কান্না। কিন্তু চিরকালের রহস্যময়ী রেখা জানেন, চুপ করে থাকলে তার খেসারত দিতে হবে। ফলে তিনি মুখ খুলেছিলেন বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়র বিরুদ্ধে।
সময়টা ছিল ষাটের দশক। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়র পিতা বিশ্বজিৎ বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি পেরিয়ে যাত্রা করেছিলেন তৎকালীন বম্বের উদ্দেশ্যে। সেখানে একের পর এক ফিল্মে অভিনয় করে কার্যতঃ তারকা হয়ে ওঠেন এই বঙ্গতনয়।
যদিও তাঁর অভিনীত অধিকাংশ ফিল্ম ছিল হেমন্ত কুমার এর প্রযোজনায় তৈরি বাংলায় যাঁর পরিচয় ছিল গায়ক হেমন্ত মুখোপাধ্যায় নামে। কিন্তু তারকা হওয়ার পাশাপাশি অতি-আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েছিলেন বিশ্বজিৎ। একজন মহিলার সাথে যেন যা খুশি করার লাইসেন্স পেয়েছেন বলে মনে করতেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রিতে রেখা তখন নিউকামার। তাঁকে জোর করে চুম্বন করেছিলেন বিশ্বজিৎ।
ঘটনাটি ঘটে 1969 সালে ‘আনজানা সফর’ ফিল্মের শুটিংয়ে। এই ফিল্মের নায়িকা ছিলেন পঞ্চদশী রেখা। তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন বিশ্বজিৎ। ফিল্মে একটি চুম্বন দৃশ্য ছিল। তৎকালীন সময় নায়করা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ভাবে ‘লিপলক কিস’ করতেন না। ‘আনজানা সফর’ ফিল্মটি পরিচালনা করেছিলেন রাজা নওয়াথে।
পরিচালক ‘অ্যাকশন’ বলা মাত্রই বিশ্বজিৎ বলপূর্বক তাঁর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুম্বন করতে শুরু করেন। টানা পাঁচ মিনিট ধরে রেখাকে চুম্বন করেছিলেন তিনি। রেখার চোখ ফেটে জল এসেছিল। কিন্তু বিশ্বজিৎ-কে কেউ থামাননি। এমনকি পরিচালকও ‘কাট’ বলেননি। এই ঘটনার সময় ফিল্ম ইউনিটের সদস্যরা হাসাহাসি করছিলেন ক্যামেরার পিছনে দাঁড়িয়ে। এমনকি অনেকে সিটি দিচ্ছিলেন।
পরে রেখা জানতে পারেন, মেহবুব স্টুডিওয় ঘটে যাওয়া এই ঘটনার নেপথ্যে ছিল বিশ্বজিৎ ও পরিচালক রাজার প্ল্যান। এমনকি রেখাকে জানানো হয়নি চুম্বন দৃশ্যের কথাও। ঘটনার সময় রেখা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলেছিলেন।
দুই সন্তানের মা হয়েও নিজের সৌন্দর্য দিয়ে কোটি মানুষের মন কেড়েছেন এই অভিনেত্রী
পরবর্তীকালে এই ঘটনা তাঁর বায়োগ্রাফি ‘রেখা : দি আনটোল্ড স্টোরি’ -তে স্থান পেয়েছে। বইটি লিখেছেন ইয়াসির উসমান। এই প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎ বলেন, সম্পূর্ণ দোষ ছিল পরিচালকের। তাঁর মনে হয়েছিল, হঠাৎই নায়িকাকে চুম্বন এই দৃশ্যটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলবে!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।