লাইফস্টাইল ডেস্ক : শহরের মেয়েরা গ্রামের মেয়েদের তুলনায় বেশি মোটা হয়। মুটিয়ে যাওয়ার সঙ্গে শহরের জীবনযাপন খাদ্যাভ্যাস পরিবেশদূষণ ও জিনগত কারণ দায়ী। বাড়তি ওজনের কারণে বাড়ছে ডায়াবেটিস উচ্চ র-ক্তচাপ হার্টের অসুখ স্ট্রোক ও ক্যানসারের মতো বড় বড় ব্যাধিও।
অকালে মৃ-ত্যু-বরণ করছেন অনেকে। শহরের মেয়েরা সকালের ব্রেকফাস্ট নিয়মিত করে না। সকালের ব্রেকফাস্ট না খেলে মোটা হওয়ার ঝুঁ-কি বাড়ে। ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বেশি খায়। আর এটি মোটা হওয়ার এটি সবচেয়ে বড় কারণ।
তারা কায়িক পরিশ্রম কম করে। এতে অতিরি-ক্ত ক্যালরি জমে ওজন বাড়ে। শহর এলাকার মেয়েরা টিভি ল্যাপটপ ফোনে সময় বেশি দেয়। শহরের মেয়েরা গাড়ির ব্যবহার বেশি করে কম হাঁটে।
এটি তাদের স্থূল করে তোলে। তারা মাছ কম মাংস জাতীয় খাবার ও সফট ড্রিঙ্ক জাতীয় পানীয় বেশি খায়। এতে ওজন বেড়ে যায়। শহরের মেয়েরা রাতের খাবার দেরি করে খায়।
সাইকোলজি টুডের গবেষণায় দেখা যায় রাতের খাবার দেরি করে খেলে মোটা হওয়ার ঝুঁ-কি বেড়ে যায়। এ ছাড়া শহরের মেয়েরা রাত জাগে ঘুমায় কম। এটিও তাদের মোটা হওয়ার জন্য দায়ী।
চকলেট চিপস আইসক্রিম বেশি খায়। এই অভ্যাস তাদের মোটা করে দেয়। এছাড়া হরমোনের সমস্যাও মোটা হওয়ার একটি বড় কারণ। শহরের দূষিত পরিবেশ ও জিনগত কারণ অনেকাংশে মেয়েদের মোটা হওয়ার জন্য দায়ী এমনটাই উঠে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়।
দিন দিন মোটা হচ্ছেন? উপোস করেও রোগা হওয়া যাচ্ছে না? কী করবেন জেনে নিন দিন দিন মোটা হচ্ছেন? যা খাচ্ছেন তাতেই ফুলছেন?উপোস করেও রোগা হওয়া যাচ্ছে না? ওয়ার্কআউটেও কোনও কাজ হচ্ছে না?
বেশি খেলেও বিপদ কম খেলেও সমস্যা। প্রতিদিন সময় মেনে পরিমিত খাবার খেলেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে মেদ। না কোনও একজন ব্যক্তির কথা নয়। আজকাল হামেশাই শোনা যায় এমন কথা।
মেদ ঝরাতে তাই নানা কসরত। ব্রেকফাস্ট বাদ লাঞ্চ-ডিনারে অল্প একটু খাবার উপোস কতকী ! তাছাড়া ওয়ার্কআউট তো আছেই। কিন্তু
তাতেও ঝরছে না মেদ। কারণটা কী? লাইফস্টাইলেই গলদ।
প্রতিদিনের খুবই তুচ্ছ কিছু ভুল অভ্যাস ও অনিয়ম প্রতিনিয়ত মোটা হওয়ার কারণ হয়ে উঠছে। সকালে ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে মেদের পরিমাণ বাড়ে। খাবার না খেলে মেটাবলিজমের মাত্রা কমে যায়।
মোটা হওয়ার কারণ। খাবার তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার বাড়াতে হবে। আমিষ ও চর্বিজাতীয় খাবার কমাতে হবে। মেদ ঝরাতে ভাজাভুজি ও ফাস্টফুড বন্ধ করতেই হবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
রেড মিট দোকানের কেনা মিষ্টি ঘি ডালডা কম খেতে হবে। মরশুমি ফল ও শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। একেবারে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে বারে বারে খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
রাতে তাড়াতাড়ি খেয়ে নিতে হবে। খাওয়ার ১ থেকে ২ ঘণ্টা পর শুতে হবে। খাওয়ার সময় পাকস্থলী ভর্তি হল কি না তা জানতে মস্তিষ্কের সময় লাগে ২০ মিনিট।
গবেষকদের দাবি যারা ধীরে ধীরে খায় তারা দ্রুতগতিতে খাওয়া ব্যক্তির থেকে প্রতিবার ৬৬ ক্যালরি খাবার কম খায়। ১ বছরে ২০ পাউন্ড ওজন কমিয়ে দিতে পারে। দিনে শোওয়ার অভ্যাস ছেড়ে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোনোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিদিন ৭ ঘণ্টা ঘুম মাস্ট। নিয়মিত প্রচুর জল খেতেই হবে। লাঞ্চের আগে একগ্লাস জল এবং খাওয়ার শেষে অন্তত ১ বা ২ ঘণ্টা পর জল খেতে হবে। প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে।
সকালে স্কুল কলেজ অফিসে যাওয়ার আগে স্নান মাস্ট। প্রতিদিন সমতল জায়গায় হাঁটতে হবে। নিয়মিত ১ থেকে ২ ঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। বেশি উঁচু তলায় ওঠার দরকার না হলে লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
বেশি বা কম খাওয়া নয়। নিয়মিত ও পরিমিত খেতে হবে। হয় ঠিকই কিন্তু পুরোটা নয়। মেদ ঝরিয়ে সুন্দর ফিগারের একটাই ফর্মুলা মেডিক্যাল পরীক্ষা করে চিকিত্সক বা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শে সঠিক ডায়েট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।