লাইফস্টাইল ডেস্ক : ছোটদের হাতে কিছু তুলে দিতে আমরা পছন্দ করি। সেক্ষেত্রে প্রথমেই চয়েস করি চিপস। বাচ্চারাও এতে খুশি হয়। অনেক শিশুরা স্কুলের টিফিনের জন্য চিপস নিয়ে যান। আবার অনেক অভিভাবক আছেন যারা অন্য কিছু টিফিনে দিতে না পারলে বলে দেন টিফিনে চিপস নিতে। খালি চিপসই নয় ফ্রেঞ্চফ্রাইও ছোট বড় সবাই আনন্দের সঙ্গে খাই। জানেন কি এই চিপস ফ্রেঞ্চফ্রাই চোখের জন্য কতটা ক্ষতি? তবে জানুন-
ব্রিটিশ এক কিশোর ছোটবেলা থেকেই ফ্রেঞ্চফ্রাই, চিপস খুব পছন্দ করতো। একটা সময় সারাদিন শুধু ফ্রেঞ্চফ্রাই, চিপস আর পাউরুটি খেয়েই থাকতে শুরু করে ছেলেটি। মাঝে মধ্যে দু’-এক টুকরা মাংসও খেতো কিশোরটি।
সারাদিন শুধু ফ্রেঞ্চফ্রাই, চিপস বা পাউরুটি খেয়ে থাকলেও ছেলেটি খুব একটা রোগা ছিল না। কিন্তু দীর্ঘদিনের অনিয়ম, অপুষ্টিতে বিগত তিন বছর ধরে ক্রমশ দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসতে থাকে তার। শেষমেশ এখন প্রায় কিছুই দেখতে পায় না ছেলেটি। দেখলেও তা খুবই ঝাপসা, অস্পষ্ট।
বিবিসিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী দীর্ঘদিনের অনিয়ম, অপুষ্টিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো সতেরো বছরের ওই কিশোর ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর ব্রিস্টলের বাসিন্দা। খবরে জানা গেছে, স্থানীয় চক্ষু চিকিৎসকদের দেখানোর পর ব্রিস্টল চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ওই কিশোরকে।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডানাইজ আতান জানান, পরীক্ষা করে কিশোরের শরীরে ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন-ডি, কপার, সেলেনিয়াম-সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজ দ্রব্যের ঘাটতির প্রমাণ মিলেছে। মারাত্মক অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগছিল সে। শুধু তাই নয়, ওই কিশোরের হাড়ে খনিজের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কম পাওয়া গেছে। এই রোগের নাম ‘নিউট্রিশনাল অপটিক নিউরোপ্যাথি’।
স্বাস্থ্য বিষয়ক বিখ্যাত মার্কিন পত্রিকা ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ ব্রিস্টলের এই কিশোরের ঘটনাটি প্রকাশ করে এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেয়। সেই প্রবন্ধে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, দীর্ঘদিনের অনিয়ম, অপুষ্টি ‘নিউট্রিশনাল অপটিক নিউরোপ্যাথি’ রোগের জন্য দায়ী। এই কিশোরও একই কারণে দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছে।
তাদের মতে, অপুষ্টির হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিন সুষম আহারের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ গ্রহণ করা জরুরি। মাল্টি ভিটামিন ট্যাবলেট বা ওষুধ খেয়ে সুষম আহারের সমতুল্য পুষ্টি পাওয়া সম্ভব নয়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, অবৈজ্ঞানিক এবং অনিয়ন্ত্রিত ডায়েট অন্ধত্ব ছাড়াও অ্যালার্জি, অটিজম-সহ একাধিক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে প্রাথমিক পর্যায় ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ নিরাময় করা সম্ভব।
তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন পুষ্টিকর, ভিটামিন, খনিজ সমৃদ্ধ খাবার-দাবার আর এড়িয়ে চলুন অপুষ্টিজনিত ফ্রেঞ্চফ্রাই, চিপস জাতীয় খাবারগুলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।