জুমবাংলা ডেস্ক : একদিন নোবেল পুরস্কার বেগম খালেদা জিয়ার পায়ের কাছে এসে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ শাহিন শওকত।
সৈয়দ শাহিন শওকত বলেন, ‘পৃথিবীর মানচিত্রে গণতন্ত্রের ইতিহাস রচনা করলে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো সংগ্রামের ইতিহাস লেখা হয়, তাহলে বেগম খালেদা জিয়ার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য শেখ হাসিনা কতো না দেন-দরবার করেছেন। ইউনুস সাহেব নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তিনি হিংসায় মরে যাওয়ার মতো অবস্থায় গেছেন। নোবেল পুরস্কারের জন্য বেগম খালেদা জিয়া লালায়িত নয়। সময় যখন হবে একদিন নোবেল পুরস্কার বেগম খালেদা জিয়ার পায়ের কাছে এসে পড়বে।’
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার গোলাপ চেয়ারম্যানের হাট এলাকায় ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক কর্মী সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত সম্মেলন তিনি আরও বলেন, ‘শেখ মুজিব ২৫ মার্চ কালোরাতে পাকিস্তানের বিমানে চেপে দেশ ছেড়ে ভুট্টুর কোলে বসে নিরাপদে বসবাস করেছে। অথচ সেসময় জিয়াউর রহমানের ডাকে দেশের মানুষ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। ২৪ সালেও একইভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে তার কন্যা শেখ হাসিনা। ৪৫ মিনিটের মধ্যে দেয় ছেড়ে ভারতে পালিয়েছে। মহান সৃষ্টিকর্তা তার এমন দশা করেছেন, তার কৃতকর্মের ফল হিসেবে। তিনি না পালালে ছাত্র-জনতা তার প্রত্যকটা লোমকূপ থেকে মাংসপিণ্ড ছিঁড়ে তার মধ্যে থাকা শয়তানের আত্মা বের করে নিতো।’
অ্যাড. সৈয়দ শাহিন শওকত বলেন, ‘শেখ হাসিনার সময়ে চিকিৎসা নিতে যাওয়া ফেলানীর লাশ ঝুঁলিয়ে রেখেছিল। কিন্তু আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী একটি কথা বলারও সাহস হয়নি। একটি প্রতিবাদ করেননি। আজকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে অবৈধভাবে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দিতে এসেছিল। তাদেরকে তাড়িয়ে বিদায় করেছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। আমরা নিজেদের এক ইঞ্চি জমিও ছাড় দেব না তা বুঝিয়ে দিয়েছি। বিজিবির এমন কার্যক্রমে আমরা খুশি ও গর্বিত। অথচ এই বিজিবিকে শেখ হাসিনা কালো বিড়ালের মুখোশ পরিয়ে রেখেছি। কিন্তু তারা আসলে একেকটা রয়েল বেঙ্গল টাইগার।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা, তুমি আমাদের নেত্রীকে কষ্ট দিয়েছ, এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছ। তার চোখের অশ্রু ঝরিয়েছ, তার হৃদয়কে রক্তাক্ত করেছ। কিন্তু অবিচল থেকেছেন আমাদের নেত্রী। আল্লাহ সব দেখেছেন। যে সেনানিবাস থেকে বের করেছিল হাসিনা, সেই সেনাবাহিনী তাকে বাসায় গিয়ে সম্মান জানিয়েছে, সেনাকুঞ্জে অতিথি করে ডেকে মর্যাদা, সম্মান দিয়েছেন।’
বিএনপির কর্মী সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম টিপু, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মুহা. হায়াতউদ্দৌলা, ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মবিনুর রহমান মিঞা প্রমুখ।
সম্মেলনে ডা. আব্দুল মালেককে সভাপতি, ইসমাইল হোসেনকে সহ-সভাপতি ও আব্দুস সালামকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়ন বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।