জুমবাংলা ডেস্ক : নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২-এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
এ সময় একই আদালত সদর উপজেলার ১২ বছরের এক মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণের দায়ে আরও এক ব্যাক্তিকে ১৪ বছরের জেল, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দুই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জেলার ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের ছেলে আবদুস সালাম (৫০) ও সদর উপজেলার চকচাপাই গ্ৰামের আমিনুল ইসলামের ছেলে সুমন হোসেন (২৫)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ জুন জেলার ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর গ্রামের আট বছরের শিশুকে ঈদের দিন দুপুরে রুটি ও সেমাই খাওয়ানোর কথা বলে আসামি তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর ওই শিশুর বাবা ধামইরহাট থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২২ সালে ৫ জুলাই মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহন শুরু হয়। চলতি বছরের ১৪ জুন ১৩ জনের সাক্ষ্য শেষে আজ তার বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে ২০২২ সালের ১৩ আগস্ট সদর উপজেলার ডাসনগর মলংশাহ দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসার প্রবেশ দ্বারে আসামি সুমন জোর করে সিএনজি যোগে মাদরাসার ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর বড় ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার ভাইয়ের জিম্মায় দিয়ে দেয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালতে ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ তাকে ১৪ বছরের জেল দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন জানান, এই রায়ে মধ্যে দিয়ে বুঝা যায় দেশে এখনো ন্যায়বিচার আছে। আইনের প্রতি মানুষের বিশ্বাস আছে। আগামীতে এই ধরনের কেউ কোনো ঘটনা ঘটানোর পূর্বে চিন্তা-ভাবনা করবেন। তারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাবে কি না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।