বিনোদন ডেস্ক : তানজিন তিশা অভিনীত ‘নরসুন্দরী’ নাটকটি সম্প্রতি প্রচারিত হয়েছে। একটি বেসরকারি টিভিতে প্রচারের পর এটি এখন ইউটিউবে দেখা যাচ্ছে। আহমেদ তাওকীরের গল্পে রাফাত মজুমদার রিংকুর পরিচালনায় ৫৬ মিনিটের ‘নরসুন্দরী’ দেখে প্রশংসা করতে ভুলছে না দর্শক। অনেকে নাটকটি দেখে ইতিবাচক কথা ক্যাপশনে দিয়ে নাটকটির লিংক শেয়ার করছে।
শত শত মন্তব্যে নেটিজেনরা ‘নরসুন্দরী’ সংশ্লিষ্টদের নারী প্রধান এ গল্পটি স্ক্রিনে তুলে আনায় বাহবা দিচ্ছেন। এতে একজন নারী নাপিতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তানজিন তিশা। গ্লামারাস রূপ ভেঙে এমন চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে তার দুর্দান্ত অভিনয়ে মুগ্ধ হচ্ছে দর্শক।
তারা বলছেন, এ নাটকটি তিশার ক্যারিয়ারে অন্যতম মাইলফলক হয়ে থাকবে; ‘নরসুন্দরী’তে অনবদ্য অভিনয়ের সুবাদে তিশা পেতে পারেন চলতি বছরে সেরা অভিনেত্রীর বিভিন্ন পুরস্কার।
সাংবাদিক ও নাট্যকার আহমেদ তাওকীরের ‘পুতুলের সংসার’ ও ‘রিক্সা গার্ল’ নামে দুটি নাটকে অভিনয় করে সু-অভিনেত্রীর তকমা পেয়েছেন তানজিন তিশা। একই লেখকের ‘নরসুন্দরী’তে প্রতিবাদী চরিত্রের মাধ্যমে তিনি ফের নিজেকে প্রমাণ করলেন।
মৃত্যুর পরে পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান হিসেবে তিশা তার বাবার নাপিত পেশাকে বেছে নেন। কিন্তু চারপাশের দুষ্ট প্রকৃতির লোকেরা তার জীবন বিষিয়ে তোলে! একসময় সে শহরে পাড়ি জমায়। তার জীবনে আসে নতুন স্ট্রাগল, বাঁকবদল এবং নতুন মানুষ। ‘নরসুন্দরী’র জীবনে নতুন মোড় নেয়। এভাবে এগিয়ে যায় গল্প, ইতিবাচক এক বার্তা দিয়ে যার শেষটা হয়।
সাব্বির হোসেন নামে একজন নাটকটি দেখে লিখেছেন, সমাজের বাস্তবধর্মী গল্প উঠে এসেছে ‘নরসুন্দরী’তে। সবার অসাধারণ অভিনয়ে দর্শক হিসেবে মুগ্ধ হয়েছি। পরিচালক রিংকু, অভিনেত্রী তিশা, নরেশ ভূঁইয়া, শরীফ সিরাজ সবার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছি।
কলকাতা থেকে শান্ত দেব নামে আরেকজন লিখেছেন, ৫৭ মিনিটে ‘নরসুন্দরী’ যা দেখালো, বছরব্যাপী চলা ভারতীয় সিরিয়ালের তা দেখা যায় না। ওইসব সিরিয়ালের চেয়ে বাংলাদেশের এক ঘণ্টার নাটক বেস্ট! নরসুন্দরী দেখে এমন মনে হয়েছে।
আফসানা খন্দকার লিখেছেন, ভাইরাল যুগে এমন শিক্ষণীয় কাজ উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। অভিজিৎ ঘোষ লিখেছেন, আমাদের সোসাইটির সবাইকে এই নাটকটি দেখা উচিত। চলতি বছরে অন্যতম সেরা নাটক হয়ে থাকবে ‘নরসুন্দরী’।
নাট্যকার আহমেদ তাওকীর জানান, বরিশালের প্রত্যন্ত একটি অঞ্চলে এমন ‘নরসুন্দরী’ দেখেছিলেন তিনি। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছে নাটকের প্লট সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, নারী-পুরুষ ভেদাভেদ করে নয়, সমাজ পরিবর্তন করতে হলে প্রয়োজন হয় মানুষের। যেহেতু আমি নতুন নতুন গল্প সাজাই, তাই নিজের গল্প ও কাজের মাধ্যমে সবসময় চেষ্টা করি চারপাশের সত্যিকারের মানুষদের তুলে ধরতে, যারা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
পরিচালক রাফাত মজুমদার রিংকু বলেন, ‘নরসুন্দরী’ প্রচারের পর দর্শকদের ভালোবাসা আমাকে সিক্ত করছে। আসলে ভাইরাল সময়ে এসে সবাই যে ওগুলো পছন্দ করে তা নয়। ভালো কাজের দর্শক কখনো শেষ হয় না, এটার অন্যতম প্রমাণ হচ্ছে ‘নরসুন্দরী’। শতশত মানুষ ভালোবাসা জানাচ্ছেন। সবার অনুপ্রেরণা পেয়ে আরও ভালো কাজের উৎসাহ পাচ্ছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।