জুমবাংলা ডেস্ক : কুল ফাগুনে পাকলেও টাঙ্গাইলের সখীপুরের চাষি সিদ্দিক হোসেনের বাগানের বরই পাকে অগ্রহায়ণে। আগাম জাতের টক বরই চাষে তিনি সফল হয়েছেন। তার ৪টি বরই বাগানের প্রতিটি গাছেই বরই এসেছে। ইতোমধ্যে আগাম জাতের প্রতি কেজি ১২০-১৬০ টাকা দরে ৫০ লাখ টাকার বরই বিক্রি করেছেন।
জানা যায়, চাষি সিদ্দিক হোসেন সখীপুর উপজেলার টিকুরিয়া চালা গ্রামের বাসিন্দা। ৫০ হাজার টাকা ঋণ করে ‘বিকল্প নার্সারি’ নামে একটি নার্সারি গড়ে তোলেন। নার্সারিতে সফলতা পাওয়ায় ২০০৯ সালে তিনি নার্সারির মালিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। তার বাড়িতে একটি আগাম জাতের বরই গাছ ছিল। সেই গাছ থেকেই চারা করে নিজ গ্রাম ও আশপাশের আরও ৪ গ্রামে মোট ২৭ একর জমিতে ৪টি টক বরইয়ের আগাম জাতের বাগান করেছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার এক দিনেই তিনি সাড়ে তিন লাখ টাকার বরই বিক্রি করেন। এ নিয়ে এবার তাঁর বরই বিক্রি দাঁড়াল ৫০ লাখ টাকা। জানুয়ারিতে আরও অন্তত ২০ লাখ টাকার বরই বিক্রির আশা করছেন তিনি।
বরইয়ের পাশাপাশি তিনি উন্নত জাতের কমলা, মাল্টা, পেয়ারা, সফেদা, জাম্বুরা, ডালিম, বেল ও রামভুটান গাছও লাগিয়েছেন। বরই ফলনের পর এইসব গাছ থেকেও অনেক ফলন ও আয় করতে পারেন।
চাষি সিদ্দিক হোসেন বলেন, অনেকদিন যাবত বরই চাষ করছি। নিজগ্রাম সহ আশেপাশের ৪ গ্রামের মোট ২৭ একর জমি বছরে ৪০ হাজার টাকা একর লিজ নিয়ে ৪টি টক বরইয়ের আগাম জাতের বাগান করেছি। আমার বাগানগুলোতে মোট ৪ হাজার বরই গাছ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমার বাগানগুলো দেখাশোনা করার জন্য ২০ জন নারী শ্রমিক ও ১০ জন পুরুষ শ্রমিক সারা বছরই কাজ করেন। বর্তমানে তারা কেউ গাছ থেকে বরই পারছেন, আবার কেউ মাটি থেকে বরই তুলে জড়ো করছেন। আবার কেউ কেউ বাগান থেকে সংগ্রহ করা বরই বাছাই করে বস্তায় ভরছে। এগুলো ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হবে।
সিদ্দিক আরো বলেন, মৌসুম শুরুর দুই মাস আগেই এই বরই পাকায় বাজারে এর চাহিদা থাকে। এখন বাজারে তিনি ১৬০ টাকা কেজি দরে বরই বিক্রি করেছি। ঢাকা শহরে এই বরই ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর ৫০ লাখ টাকার বরই বিক্রি করেছিলাম। এবছর একমাসেই ৫০ লাখ টাকার বরই বিক্রি করেছি। আশা করছি, আগামী মাসে আরও ২০ লাখ টাকার বরই বিক্রি করতে পারবো।
অভিনয়ে চরম ব্যর্থ হলেও সৌন্দর্যে নায়িকাদের টক্কর দেবে রাজকুমারের মেয়ে
সখীপুর উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, সিদ্দিক একজন সফল বরই চাষি। তার সফলতা দেখে অনেকেই বরই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। অনেকে বরই চাষে সফলও হয়েছেন। আশা করছি সিদ্দিক সহ বাকি বরই চাষিদের মাধ্যমে বরই চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে। আমরা বরই চাষিদের সহযোগীতা করবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।