বিনোদন ডেস্ক : ইরানের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা দারিউশ মেহেরজুই ও তাঁর স্ত্রী ভাহিদিয়া মোহাম্মদীফা হত্যার ঘটনায় একজনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও সহায়তার দায়ে আরও তিনজনকে ৮ থেকে ৩৬ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দেশটির আরবোর্জ প্রদেশের প্রধান বিচারপতি হুসেইন ফাজেলি-হারিকান্দি এ রায় দেন। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে কারাজ শহরে নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন এই দম্পতি। তাঁদের মেয়ে মনা মেহেরজুই তেহরানে থাকেন। তিনি ওই দিন তেহরান থেকে বাবাকে দেখতে গিয়েছিলেন। ঘরে ঢুকে তিনি বাবা-মায়ের লাশ দেখতে পান। এ ঘটনায় মামলা করে নিহতের পরিবার।
ইরানের বিচার বিভাগ পরিচালিত সংবাদ সংস্থা মিজানের ওয়েবসাইটে সোমবার প্রকাশিত রুলে বিচারপতি হুসেইন ফাজেলি-হারিকান্দি উল্লেখ করেন, হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন পর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন। মামলার বিচারকার্য শেষে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে দণ্ডিতের নাম প্রকাশ করা হয়নি। ওয়েবসাইটটিতে বলা হয়েছে, দণ্ডিতদের সুপ্রিম কোর্টে আপিলের সুযোগ রয়েছে।
ফাজেলি-হরিকান্দির আগের একটি বক্তব্য উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, খুনি ব্যক্তি আগে মেহেরজুইয়ের জন্য কাজ করতেন এবং তিনি আর্থিক বিষয় নিয়ে মেহেরজুইয়ের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।
ইরানের নিউ ওয়েভ ফিল্ম মুভমেন্ট বা চলচ্চিত্রে পরিবর্তনের যে আন্দোলন, তার অগ্রনায়কদের একজন দারিউশ মেহেরজুই। তাঁর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘দ্য কাউ’ এই আন্দোলনের প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচিত হয়, যাতে মাসুদ কিমিয়াই, নাসের তাকভাইও ছিলেন। এ ছাড়া নির্মাতার লেইলা, হামোউন, দ্য টেন্যান্টস ও দ্য পিয়ার ট্রি চলচ্চিত্র উল্লেখযোগ্য।
শাহরুখকে স্পেশাল চিঠি অ্যাটলির, ব্লকবাস্টার ‘জওয়ান’কে কী লিখলেন পরিচালক?
১৯৯৮ সালে শিকাগো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সিলভার হুগো এবং ১৯৯৩ সালের সান সেবাস্তিয়ান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন সিশেল, ২০০৪ সালে ফজর চলচ্চিত্র উৎসবের ক্রিস্টাল সিমোরগ, আন্তর্জাতিক লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার ১৯৯৩-সহ ৪৯টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।