জুমবাংলা ডেস্ক : সবজির রাজ্য যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ও বারীনগর সাতমাইল পাইকারি বাজারে ফুলকপির দাম নেই। ক্রেতারা ফুলকপির দিকে তাকিয়েও দেখছে না। ইতোমধ্যে শুক্রবার সকালে ফুলকপি বাজারে না আনতে চুড়ামনকাটির পাইকারি বাজারে মাইকিং করা হয়েছে। এদিন প্রতিপিস ফুলকপি ১ থেকে ৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কিন্তু সেখানকার খুচরা বাজারে ফুলকপি ৮ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। আর যশোর শহরের বড় বাজারসহ বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতিপিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে চাষি ও সাধারণ ক্রেতা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
চাষিরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ ধরে পাইকারি বাজারে ফুলকপির চাহিদা নেই। তারা বাজারে শত শত পিস কপি নিয়ে গেলেও দাম পাচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের ফুলকপি কেনার প্রতি কোনো আগ্রহ নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে প্রতিপিস ৫০ পয়সা থেকে ১/২ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে লাভ তো দূরের কথা বাজারজাত করার গাড়ি ভাড়া ও শ্রমিকের টাকা পরিশোধ হচ্ছে না। এতে অনেকেই ফুলকপি বাজারে নিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। চাষিরা বলছেন, ফুলকপি বাজারে নিলে কেউ কিনতে চাইছেন না। এমন একটি অবস্থা তৈরি হয়েছে তাতে করে কপি ছাগল, গরু দিয়ে খাওয়াতে হবে।
চাষি শফিকুল ইসলাম ও মিন্টু হোসেন জানান, শুক্রবার সকালে পাইকারি বাজারে ফুলকপির কোনো চাহিদা ছিল না। বাজারে চাষিরা কপি আনলেও ক্রেতারা তাকিয়েও দেখেননি। বেলা ১০ টার দিকে পাইকারদের পক্ষ থেকে ফুলকপি না আনার জন্য মাইকিং করা হয়। চাষি আবুল কালাম, শহিদুল ইসলাম, আবেদ আলীসহ কয়েকজন জানান, হঠাৎ করে পাইকারি বাজারে ফুলকপির দাম কেনো পড়ে গেল এটা তাদের বোধগম্য নয়।
তাদের ধারণা পাইকার ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে তারা ফুলকপির ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। ফুলকপি একেবারে মূল্যহীন হয়ে গেছে। পাইকাররা সিন্ডিকেট তৈরি করে নিজেরাই দাম কমিয়ে দিয়েছে বেশি লাভবান হওয়ার জন্য। চাষিদের ভাষ্যমতে, পাইকার ও খুচরা বাজারে ফুলকপির দামে রয়েছে বিস্তর ফারাক। চুড়ামনকাটি ও সাতমাইলের খুচরা বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিপিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকায়। আর যশোর শহরের বড় বাজারে প্রতিপিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।
আব্দুর রশিদ নামে এক খুচরা বিক্রেতা জানান, আমি ফ্রেশ কপি ছাড়া বিক্রি করি না। পাইকারি বাজারে হয়ত নিম্নমানের ফুলকপির দাম ১ টাকা হতে পারে। তিনি একটু বেশি দামে ভালো মানের কপি কিনেছেন। এজন্য একটু বেশি দামে বিক্রি করছেন। চুড়ামনকাটি বাজারে কথা হয় ব্যবসায়ী সানোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, মানুষ এখন আর ফুলকপি খেতে চাইছেন না। যে কারণে বাজারে কপির চাহিদা নেই। ফলে তারা ফুলকপি কিনছেন না। যে কারণে পাইকারি বাজারে ফুলকপি না আনার জন্য চাষিদের আহবান জানিয়ে মাইকিং করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী সবজি চাষিরা জানিয়েছেন, খুচরা বাজারে ফুলকপির এখনো বেশ চাহিদা রয়েছে। তারা পাইকার ব্যবসায়ীদের কারসাজির শিকার হয়েছেন। খুচরা বাজারে ৮ থেকে ১০ টাকা দামে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে। অথচ পাইকারি বাজারে ফুলকপি মূল্যহীন। পাইকার ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কপি কিনতে চাইছে না। যে কারণে তারা পানির দরে কপি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.