জুমবাংলা ডেস্ক : ঝালকাঠির রাজাপুরে ঘুস খেয়ে হুঁশ নেই ভূমি কর্মকর্তা ইমদাদুল ইসলামের। তাই একজনের জমি আরেকজনের নামে নামজারি করে দিয়েছেন তিনি। ইমদাদুল ইসলাম উপজেলার শুক্তগড় ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
মো. হান্নান তালুকদার নামে এক জমির মালিক ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। হান্নান তালুকদার উপজেলার শুক্তগড় ইউনিয়নের ঘিগড়া গ্রামের মো. আকরাম হোসেন তালুকদারের ছেলে।
মো. হান্নান তালুকদার অভিযোগে জানান, তিনি ২০১৯ সালের ২৩ আগস্ট ৩১ দশমিক ৯৪ শতাংশ জমি নামজারি করতে শুক্তগড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাধ্যমে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই শেষে ২০২২ সালের ২৮ মার্চ উপজেলা ভূমি অফিস থেকে হান্নান অনুমোদন পান।
কিন্তু একই এলাকার মো. মোজ্জামেল তালুকদারের ছেলে মো. ইমাম হোসেন শুক্তগড় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. ইমদাদুল ইসলামকে মোটা অঙ্কের ঘুস দেন। ঘুস নিয়ে ভূমি কর্মকর্তা ইমদাদুল ইসলাম যাচাই-বাছাই না করেই হান্নানের ওই ৩১ দশমিক ৯৪ শতাংশ জমি থেকে ১৬ শতক ৩২ শতাংশ জমি ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি ইমাম হোসেনের নামে নামজারির জন্য প্রস্তাব করেন। তার প্রস্তাব অনুযায়ী ২০২৩ সালের ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি অনুমোদন পান ইমাম হোসেন, যা সম্প্রতি জমির খাজনা দিতে গিয়ে হান্নান তালুকদার জানতে পারেন।
বর্তমানে হান্নান ওই শুক্তগড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বারবার গিয়েও এর কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে শুক্তগড় ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মো. ইমদাদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এটা আমার ভুল হয়েছে। কীভাবে হয়েছে তা বলতে পারি না। তবে ওই লোক আবেদন করলে ঠিক করে দেওয়া যেতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ববি মিতু বলেন, শুক্তগড় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে ভুক্তভোগীকে আমার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।