Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home অনিশ্চয়তায় পদ্মাপাড়ের হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা
ঢাকা বিভাগীয় সংবাদ

অনিশ্চয়তায় পদ্মাপাড়ের হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা

Shamim RezaJune 2, 2022Updated:June 2, 20224 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যাতায়াতের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর মাধ্যমে। এই সেতুকে ঘিরে পদ্মার দুই পাড়ের মানুষের আনন্দ-উচ্ছ্বাসের কোনো কমতি নেই।

রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে শিল্প-বাণিজ্য ও পর্যটনের প্রসারের সম্ভাবনা হাতছানি দিলেও শিমুলিয়া-মাঝির হাট ঘাটকেন্দ্রিক হোটেল ব্যবসায়ী ও হাজারেরও বেশি কর্মজীবী মানুষ শঙ্কা ও অনিশ্চয়তায় দিন পার করছেন। তাদের দুশ্চিন্তার কারণ হলো ঘাট বন্ধ হলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে। এ জন্য সরকারের ঘোষণা মতো দ্রুত পদ্মার পাড়ে পর্যটন পার্কসহ মানুষের হাঁটা ও বসার ব্যবস্থা করার দাবি জানান তারা।

মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট ও জাজিরা উপজেলার নওডোবা ইউনিয়নে মাঝির হাটের ফেরি ও লঞ্চঘাট ঘুরে জানা গেছে, আগামী ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। তখন এই দুই ঘাট হয়ে উঠবে সুনসান। এ অঞ্চলে পদ্মা সেতু হলেও ঘাটসংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ এর সুফল থেকে আপাতত বঞ্চিত হবে। কারণ সেতু চালুর সাথে সাথে ফেরি ও লঞ্চঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংসারের চলতে থাকা চাকার গতি হঠাৎ করেই থমকে যাবে। তাই ঘাটকে ঘিরে যাদের সংসারের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে তাদের মধ্যে শঙ্কা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে শিমুলিয়া ঘাটের হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. মুরাদ খান বলেন, দীর্ঘদিন লালিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু কয়েক দিন পর উদ্বোধন হবে। এর থেকে খুশির আর কী হতে পারে! এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি সাহসী উদ্যোগ নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে এত বড় একটি সেতু নির্মাণ করেছেন, যা সারা বিশ্বে প্রশংসিত।

তিনি বলেন, আনন্দের মাঝেও কিছু কষ্ট থেকে যায়। কষ্টটা হলো পদ্মার দুই পাড়ে লঞ্চ ও ফেরি ঘাট কেন্দ্রিক অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সেতু চালু হলে ঘাটে যাত্রী কমে যাবে। আর যাত্রী কমে গেলে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসানে যাবে। তখন বাধ্য হয়ে মালিক বন্ধ করে দেবে। এটা নিয়ে সব ব্যবসায়ী চিন্তিত ও ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। শঙ্কা থেকে অনেকেই কর্মচারী ছাঁটাই শুরু করেছেন। ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। যারা আছেন তারা কেউ আর নতুন করে বিনিয়োগ করছেন না। ফলে হোটেল-রেস্টুরেন্টে কর্মরত হাজারেরও বেশি কর্মচারী বেকার হয়ে যাবে। তবে এর মধ্যেও সম্ভানা আছে। সরকার যদি এই ঘাটগুলো পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করে তাহলে পর্যটকরা আসবে। পর্যটকরা এলে এসব হোটেল-রেস্টুরেন্টের ব্যবসা সচল থাকবে। নতুন করে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে বলে জানান তিনি।

বেপারী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক ইউনুস বেপারী বলেন, মাওয়া ফেরি ঘাট হওয়ার পর থেকে হোটেল ব্যবসা করছি। গত ৮ বছর হলো শিমুলিয়া ঘাটে এসেছি। প্রথম দিকে ব্যবসা ভালো হতো। গত দেড় বছর ধরে এই লাইনে ফেরি ও লঞ্চ তুলনামূলক কম চলাচল করায় যাত্রী কমে গেছে। আর পদ্মা সেতু চালু হলে ঘাট বন্ধ হয়ে যাবে স্বাভাবিক নিয়মে। তখন আমাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে আমাদের ভবিষ্যৎ কী হবে সেটা জানি না।

রূপসী বাংলা হোটের অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার সোহেল আহমেদ বলেন, আমরা পুরো অনিশ্চয়তায় আছি। সেতু চালু হওয়ার পর যদি ঘাট বন্ধ হয়ে যায় তখন আমাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। আর ঘাট চালু থাকলেও যাত্রীরা আর এখানে আসবে না। তবে একটা সম্ভাবনা রয়েছে, সেটা হলো সরকার যদি এ ঘাটকে পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করে তাহলে আমরা হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা বেঁচে যাবো। তবে সেটা দ্রুত করতে হবে। দেরি হলে আমরা পুঁজি হারিয়ে পথে বসে যাবো। ইতোমধ্যে আমরা অনেক লোকসান দিয়েছি। নতুন কোনো বিনিয়োগ করে আর ধরা খেতে চাই না। সরকারকে এখনই স্পষ্ট করে ঘাটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে হবে। নইলে কর্মসংস্থান হারিয়ে হাজার হাজার লোক বেকার হবে।

মাঝির হাটের ফেরি ঘাটের খাবার হোটেল ব্যবসায়ী লোকমান বলেন, পদ্মা সেতু হচ্ছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, দেখতে ভালো লাগে। যোগাযোগ ভালো হওয়ায় ঢাকার সাথে দূরত্ব কমেছে। তবে আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীদের কপাল পুড়েছে। সেতু চালু হলে কাদের কাছে খাবার বিক্রি করবো। যাত্রী তো আর এ পথে আসবে না। ফলে আমাদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত!

মানুষ কেন দুঃস্বপ্ন দেখে

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি, মাঝির ঘাট নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ, দেড় শতাধিক স্পিড বোট, ১০টি ফেরি বর্তমানে চলছে। এসব নৌযানে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী নিয়মিত পার হন। এই যাত্রীদের ওপর নির্ভর করেই দুই পারের ঘাটগুলোতে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ঘাটের দুই পাড়ে ৭০টির মতো খাবার হোটেল, স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ মিলিয়ে দুই শতাধিক ফলের দোকান, ১০০ চায়ের দোকান, ৫০টি কনফেকশনারি রয়েছে। এছাড়া পান, সিগারেট, ঝালমুড়ি, বাদাম, ছোলা, আচার, সেদ্ধ ডিম, সিঙ্গারা, নারকেলচিড়া, শসা, দইসহ নানা রকম মুখরোচক খাবারের স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা রয়েছে দুই হাজারের মতো। ঘাট না থাকলে এসব দোকান ও বিক্রেতাও আর থাকবে না। ফলে সব মিলিয়ে ৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান অনিশ্চয়তায় পড়ে যাবে।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
অনিশ্চয়তায় ঢাকা পদ্মাপাড়ের বিভাগীয় ব্যবসায়ীরা রেস্তোরাঁ সংবাদ হোটেল হোটেল-রেস্তোরাঁ হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা
Related Posts
Sajjad

গোপনে ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী তামান্নার জামিন

December 14, 2025
বেরোবি

বেরোবিতে ঢাবির বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

December 13, 2025
বাঘা আইর মাছ

বরগুনার রেস্টুরেন্টে ৭০ কেজি ওজনের নিষিদ্ধ প্রজাতির মাছ

December 13, 2025
Latest News
Sajjad

গোপনে ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী তামান্নার জামিন

বেরোবি

বেরোবিতে ঢাবির বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

বাঘা আইর মাছ

বরগুনার রেস্টুরেন্টে ৭০ কেজি ওজনের নিষিদ্ধ প্রজাতির মাছ

খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে যুবদলের মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

chuadanga

বালক বিদ্যালয়ে ভর্তির লটারিতে নাম উঠলো ‘মিস জুলেখা খাতুন’

Sajid a

শিশু সাজিদের শেষ প্রেসক্রিপশনে যা লিখলেন চিকিৎসক

Sajid

গর্তে পড়া শিশু সাজিদের মৃত্যুর কারণ জানা গেল

Sajid

রাজশাহীতে গর্তে পড়া শিশু সাজিদ বেঁচে নেই

Baby

লালমনিরহাটে বাড়ির উঠান থেকে ১০ দিনের নবজাতক উদ্ধার

Baby

শিশু সাজিদ জীবিত উদ্ধার হলো যেভাবে

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.