জুমবাংলা ডেস্ক : ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিতে ন্যূনতম বিক্রয়মূল্য প্রত্যাহার ও শুল্ক কমানো এবং বাংলাদেশে আমদানি শুল্ক হ্রাসের সিদ্ধান্তে গত মাসে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম ছিল। কিন্তু এখন আবার বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ সংকটের অজুহাতে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
তিন দিনের ব্যবধানে যশোরের শার্শা ও বেনাপোলের বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। বিক্রেতারা জানান, আজ (মঙ্গলবার) দেশি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি দরে। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। সেই হিসেবে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সংকট থাকায় শার্শার সবচেয়ে বড়বাজার নাভারণে দেশি পেঁয়াজের সংকট রয়েছে। বাড়তি দামের কারণে অনেকেই আড়তে পেঁয়াজ তুলছেন না।
এদিকে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় হতাশ খুচরা বিক্রেতা ও সাধারণ ক্রেতারা। তারা বলছেন, এভাবে দাম বাড়তে থাকলে তাদের ভোগান্তি আরও বাড়বে। যেখান থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে সেসব জায়গায় অভিযান চালিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। সম্প্রতি পেঁয়াজ বাজার ও আড়ৎগুলোতে প্রশাসনের বিশেষ টাস্কফোর্স ও ভোক্তা অধিকার যৌথ অভিযান পরিচালনা করলেও তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
নাভারণ বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সামছুর শিকদার জানান, সাতক্ষীরার ভোমরায় স্থলবন্দরে সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন নির্বাচনের কারণে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় ভারত থেকে কোন পেঁয়াজের চালান বাংলাদেশে আসেনি। এ কারণে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে অতি মুনাফার জন্য আমদানিকারক এবং পাইকারি বিক্রেতাদের অসাধু সিন্ডিকেট পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়েছে। এক সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে এবং দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
তিনি অরো জানান, কৃষক পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজের মজুত শেষের দিকে, যে কারণে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। তাই গত তিন দিনে কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়েছে। আর এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ বর্তমানে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আগামী নির্বাচনে অন্তত ২০ আলেমকে সংসদে পাঠাতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
বেনাপোল বন্দরের ডিরেক্টর মামুন কবীর তরফদার বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে অনেকদিন যাবত ভারত থেকে কোন পেঁয়াজের চালান আমদানি হচ্ছে না। এ পথে গাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ভোমরা ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।