জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরে আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। এক সপ্তাহের ব্যবধানেই কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১০ টাকা। হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় ও দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে দিনাজপুরের সবচেয়ে বড় পাইকারি ও খুচরা বাজার বাহাদুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে প্রকারভেদে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৫-৯০ টাকায়। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা পর্যন্ত। এক সপ্তাহ আগেই পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫-৮০ টাকা দরে। খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৯০ টাকা দরে।
বাহাদুর বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মাজেদুর রহমান জানান, ঈদের পর তারা ভারতীয় পেঁয়াজ সেভাবে পাননি। তাই দেশি পেঁয়াজই বিক্রি করছেন। মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে তিনি বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ না আসায় দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বেড়েছে। আর চাপ বেড়ে যাওয়ায় মোকামে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। তাই বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে বাধ্য হয়ে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ না আসলে সামনে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা।
দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ স্থলবন্দর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয় ভারত থেকে। কিন্তু এই বন্দর দিয়ে কমেছে পেঁয়াজ আমদানি। হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-অর রশিদ জানান, দুই দেশেই পেঁয়াজের শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারতেও পেঁয়াজের দাম বেশি। সে কারণে পেঁয়াজ আমদানিতে সুবিধা করতে পারছেন না তারা। এজন্য পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা।
বন্দরের আমদানিকারকরা জানান, ভারতে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ভারত সরকার যদি শুল্ক প্রত্যাহার না করে অথবা শুল্ক না কমায়, তাহলে পেঁয়াজ আমদানি করে লোকসানে পড়বে তারা। এজন্যই তারা পেঁয়াজ আমদানি করছেন না।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ জানান, ঈদুল আজহার পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুইটি ট্রাকে মাত্র ৫০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।