জুমবাংলা ডেস্ক : চড়া দ্রব্যমূল্যের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ক্রেতার নাগালের মধ্যে থাকা পেঁয়াজের দাম আরো কমেছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ চলে আসায় এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাঁচ থেকে ১০ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে দেশি রসুনের সরবরাহ কমায় কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্যামবাজার, কারওয়ান বাজার ও জোয়ারসাহারা বাজারের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা এসব তথ্য জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে পাইকারি বিক্রেতারা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৮-৩০ টাকায় বিক্রি করছেন এবং খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা দামে বিক্রি করেছেন। বর্তমান দামের চেয়ে গত সপ্তাহে বাজারে খুচরা পর্যায়ে কেজিতে ৫-১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়। দেশি রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি রসুন আগের দামেই ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুই সপ্তাহ ধরে বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসছে, যার কারণে নতুন ও পুরাতন সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে চলে আসায় বিক্রেতারা পুরনো পেঁয়াজ ছেড়ে দিচ্ছেন।
পেঁয়াজের পাইকারি বাজার শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. মাজেদ বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজই কম দামে বিক্রি হচ্ছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে চলে আসায় বিক্রেতারা পুরনো পেঁয়াজ ছেড়ে দিচ্ছেন। আজ পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ’
কারওয়ান বাজারের পাইকারি ও খুচরা পেঁয়াজ ও রসুনের ব্যবসায়ী মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘এখন পাইকারিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ কেজি ৩০ টাকা এবং খুচরায় ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। পুরাতন পেঁয়াজ কেজি পাইকারিতে ৩৫ টাকা এবং খুচরায় ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। দেশি রসুনের সরবরাহ কমায় কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় এবং আমদানি রসুন কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।