জুমবাংলা ডেস্ক : পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকা পাবনার সবগুলো হাটবাজারে হঠাৎ করেই দাম বেড়েছে। মাত্র চারদিনের মধ্যেই খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের এই দাম ৬০-৭০ টাকা বেড়ে গেছে। আগামী দিনে পেঁয়াজের দাম আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে হঠাৎ দাম বাড়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের লোকজন। দাম বেশি হওয়ায় এক শ্রেণির কৃষকের খুশিতে দিন কাটলেও বেশির ভাগ কৃষক অভিযোগ করেছেন, আশানুরূপ পেঁয়াজ না থাকায় দাম বেড়েছে।
আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে পাবনার আতাইকুলা, কাশিনাথপুর, সাঁথিয়া, করমজা হাটসহ বেশ কয়েকটি খুচরা ও পাইকারি হাটে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বুধবার এই হাটে নতুন পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা ও পুরনো পেঁয়াজ ১২৫-১৪০ টাকা কেজি দরে (পাইকারি) বিক্রি হয়েছিল। মাত্র চারদিনের মধ্যে দাম বেড়ে আজ (রোববার) নতুন পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকায় ও পুরনো পেঁয়াজ ১৭৫-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ চাষিরা জানিয়েছেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় এখন তারা অনেক খুশি। তবে দাম বাড়লেও ওজন কমে গেছে এবং সেই সঙ্গে প্রচুর পেঁয়াজ পচে গেছে। বাড়তি এই দাম মৌসুমের শুরুতে থাকলে লাভ আরও বেশি হতো।
এদিকে সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘গত বছর উপজেলায় ১ লাখ ৭৮ হাজার ১০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। যা ১৬ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়।’
গত বছর পাবনা জেলাব্যাপী ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। যা ৫২ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আবাদ হয় সুজানগরে।
কাশিনাথপুর হাটে আসা চাষী আবু সাইয়িদ বলেন, ‘এ রকম দাম সারা বছর থাকা দরকার। কারণ বেশিরভাগ চাষি আগেই পেঁয়াজ বিক্রি করে থাকেন।’
কাশিনাথপুর হাট মালিক আব্দুস সালাম বলেন, ‘চাহিদা ও সরবরাহের ওপর এটা নির্ভর করে। তবে আশা করছি, মূলকাটা বা মুড়ি পেঁয়াজের মৌসুম পুরোদমে শুরু হলে দাম কমবে। বর্তমানে হাটে পুরনো বড় পেঁয়াজ ৭৮০০-৮৫০০ টাকা বিক্রয় হচ্ছে। পুরনো ছোট পেঁয়াজের দাম ৫৮০০-৬২০০ টাকা। নতুন পেঁয়াজের (মূলকাটা) বাজার দর ৪৫০০-৫২০০ টাকা মণ পর্যন্ত উঠেছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।