জুমবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ পাঁচ মাস পর পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরও সেদেশের নতুন শুল্ক জটিলতায় পেঁয়াজ আমদানি করছেন না বাংলাদেশের আমদানিকারকরা। ব্যবসায়ীদের দাবি ভারতের সব শর্ত মেনে পেঁয়াজ আমদানি করলে বাজারে বর্তমান দামের চেয়ে অনেক বেশি পড়বে। যার জন্য হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে দেশি পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে বলে মনে করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আশিকুল আলম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হবে সেই জন্য পেঁয়াজ কম করে কিনলাম। তবে গত সপ্তাহের থেকে কিছুটা দাম কমেছে। তবে দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকার নিচে যদি বিক্রি হতো তাহলে আমাদের সাধারণ ক্রেতাদের অনেক সুবিধা হতো। বর্তমানে এক কেজি ভালো মানের পেঁয়াজ কিনলাম ৬৫ টাকায়।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, দীর্ঘদিন পর ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা ব্যাংকে এলসি খুলে খুলেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে শুনি ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করলে ৭০ থেকে ৭২ টাকা প্রতি কেজিতে খরচ পড়বে। একারণেই আমাদের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি করছেন না। তবে ভারতের ব্যবসায়ীরা আমাদের জানিয়েছেন খুব দ্রুত ভারত সরকার শুল্ক কমিয়ে দেবে এবং হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।