জুমবাংলা ডেস্ক : মাত্র এক সপ্তাহ আগেও প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। দর উঠা-নামার মধ্যেও গত এক মাসে পেঁয়াজের মূল্য ১০০ টাকার নিচে নামেনি। তবে ভারত ছাড়াও আরও ৪টি দেশ থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করায় অস্থির পেঁয়াজের বাজার এখন স্বস্তির খবর দিচ্ছে। কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। দেশের বৃহৎ পাইকারি ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বাজার অনুসন্ধান করে এসব তথ্য জানা গেছে।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের সূত্রে জানা গেছে, আমাদের দেশের পেঁয়াজের বাজার ভারত নির্ভর হলেও এবার ভারত ছাড়াও পৃথক ৪টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে চীন, থাইল্যান্ড, মিশর এবং পাকিস্তান। ফলে পেঁয়াজের বাজারে যে সঙ্কট ছিলো তা এখন কাটতে শুরু করেছে। ফলে কমতে শুরু করেছে দামও।
খাতুনগঞ্জের ভোগ্যপণ্যের ব্যবসায়ী পারভেজ রহমান বলেন, জুলাইয়ে কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বড় বড় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানিতে এলসি খোলা বন্ধ রাখেন। ভারত থেকেও পেঁয়াজ আসা অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সঙ্কট ও মূল্য বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু এই সুযোগে বেশ কয়েকজন ছোট ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানিতে বিকল্প দেশ খুঁজে বের করেন। তারা পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, চীন এবং মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানির এলসি খুলেন। সেসব এলসির পেঁয়াজ ৫ আগস্টের পর থেকেই দেশে ঢুকতে শুরু করে। ইতিমধ্যে উল্লেখিত দেশ সমূহের পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজার হয়ে খোলা বাজারে যেতে শুরু করেছে। ফলে পেঁয়াজের মূল্য কমতির দিকে রয়েছে। দেশ ও মান ভেদে এখন প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তদার সিদ্দিক আহাম্মেদ জানান, গত এক সপ্তাহ আগেও ভারতীয় পেঁয়াজ পাইকারিতে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন সেটা ৯০ টাকায় নেমে এসেছে। এছাড়া চায়না থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি, মিশরের পেঁয়াজ ৬৫ টাকা কেজি, পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারিতে দাম কমার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী মার্কেটের ভোগ্যপণ্যের দোকানদার সাইফুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের দাম এই সপ্তাহে কমেছে। চায়না, মিশর এবং পাকিস্তানের পেঁয়াজ এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে যা ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কম।
খাতুনগঞ্জের লামার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমছে। বিশেষ করে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় অনেক ব্যবসায়ী বিকল্প বাজার খুঁজে পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। এতে বাজারে প্রভাব পড়েছে। তবে ভারত ছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে নিয়মিত পেঁয়াজ আমদানি হয় না। বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।