জুমবাংলা ডেস্ক: আমদানির খবরে দেশের মোকাম ও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। মোকামে মণপ্রতি সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা আর পাইকারিতে ২৫ টাকা কমেছে। দেশের বিভিন্ন মোকাম ও পাইকারি বাজারের খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
পাবনা, ফরিদপুর, রাজশাহীর পেঁয়াজের মোকাম মালিকেরা জানান, গত রবিবার তাঁদের এলাকায় প্রতিমণ (৪০ কেজি) পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকা। আজ সোমবার তা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার ৩০০ টাকায়।
পাবনার মথুয়াপাড়া গ্রামের কৃষক মামুনুর রহমান জানান, আমদানির অনুমোদনটা আরও কয়েক দিন পরে দিলে কৃষকদের জন্য খুব ভালো হতো। দাম যেভাবে কমা শুরু হয়েছে তাতে কৃষকদের লোকসানের হাত থেকে বাঁচানোর উপায় নেই।
রাজধানীর পুরান ঢাকার পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক দিনের ব্যবধানে সেখানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২৪ থেকে ২৫ টাকা কমে গেছে।
শ্যামবাজারের আজমেরী ভান্ডারের বিক্রয় প্রতিনিধি মনির হোসেন জানান, গতকাল প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০ থেকে ৯২ টাকায়। আর সোমবার ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে তাদের বিপুল অঙ্কের লোকসান হবে।
উল্লেখ্য, পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে জন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় বিগত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৫ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। আর এ বছর উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টন। পেঁয়াজের সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে বিভিন্ন ধাপে অপচয় ২৫-৩০ শতাংশ বাদে গত বছর নিট উৎপাদন হয়েছে ২৪.৫৩ লাখ টন।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৮-৩০ লাখ টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানি হয় ৬ লাখ টন।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের হিসাব অনুযায়ী, রবিবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।