জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার হাটবাজারে পেঁয়াজের দামে বেড়ে কেজিতে ২৫ থেকে ২৭ টাকা। প্রকার ভেদে ২৩ থেকে ২৫ টাকা কেজির দরের পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজিতে। হঠাৎ করে পেয়াঁজের দাম বেড়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতা সাধারণ।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে ফুলবাড়ী পেঁয়াজের বাজার ঘুরে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে বাজারে যে পেঁয়াজ প্রকার ভেদে বিক্রি হয়েছে ২৩ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে, সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে।
পৌর বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রিকশা চালক আফজাল হোসেন বলেন, কয়দিন আগেও ভালো মানের পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজি দরে পাওয়া গেলেও এখন সেই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৫২ টাকা কেজিতে। এভাবে দাম বাড়লে কেমন করে চলবো আমরা খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
আরেক ক্রেতা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসে পেঁয়াজের চাপ থাকলেও সে সময় দাম বাড়েনি। কিন্তু এখন কি এমন চাপ বাড়লো যে, হঠাৎ করে কেজিতে ২৫ থেকে ২৭ টাকা বেড়ে গেলো। এসব আসলে ব্যবসায়ীদের কারসাজি। প্রশাসন নিয়মিত বাজার মনিটরিং করলে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করতে ভয় পাবে।
পৌর বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের মোকাম পাবনা, ফরিদপুর, রাজশাহী, তাহেরপুর ও নাটোরে পেঁয়াজের উৎপাদনসহ মোকামে পেঁয়াজের আমদানি পর্যাপ্ত রয়েছে। কিন্তু এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের মজুদ শুরু করায় হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম পাইকারী ও খুচরা বাজারে বেড়ে গেছে। এতে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ফুলবাড়ী বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী দীপক কুমার বলেন, মোকামে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের সঙ্গে তারাও বিপাকে পড়েছেন। মোকামে বড় বড় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুদ করার পাশাপাশি কৃষকরাও বাড়ীতে পেঁয়াজ মজুদ করায় বর্তমানে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। এজন্য পেঁয়াজের দাম বাড়তির দিকে। তবে মোকামে পেঁয়াজের দাম নেমে আসলে স্থানীয় বাজারেও দাম কমে আসবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিংয়ে মাধ্যমে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।