লাইফস্টাইল ডেস্ক : যেকোন সুস্বাদু খাবার রান্নার ক্ষেত্রে পেঁয়াজের ব্যবহার অপরিহার্য।তবে আমাদের বাংলাতে একে আমিষের তকমাই দেওয়া হয়েছে। তবে পেঁয়াজ আসলে যে নিরামিষ না আমিষ এ নিয়ে তরজা সবসময় লেগেই থাকে।
কেউ বলে এটি মাছ, মাংস-এর সমান আবার অনেকে বলেন এটি নিরামিষ সব্জি। রান্নাঘরের সব সময়ের সঙ্গী এই পেঁয়াজ! অথচ অনেকেই জানেন না পেঁয়াজ আমিষ না নিরামিষ! পেঁয়াজ আমিষ শ্রেণীভুক্ত হোক বা নিরামিষ সব ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার লক্ষ্যনীয়।
অনেকে বলেন, আমিষ শব্দের অর্থ প্রোটিন। প্রচলিত ভাষা অনুযায়ী আমিষ খাদ্য বলতে প্রাণিজ প্রোটিন আর নিরামিষ খাদ্য বলতে প্রাণিজ প্রোটিন বাদ দিয়ে যেকোনও খাবার বোঝায়। তবে বৃন্দাবন, বেনারস এর মত ধর্মীয় স্থানেও এর ব্যবহার নিরামিষ হিসেবেই হয়। তবে ৯৯ শতাংশ বাঙালি একে আমিষ হিসেবেই জানে। কিন্ত আদতে এটি আসলে এটি কী?
পেঁয়াজ মূলত নিরামিষ। কিন্তু আমিষ জাতীয় রান্নায় এটি অপরিহার্য। যেমন মাছ মাংস ডিম ইত্যাদি রান্নায় লাগে। ফলে অনেক ধর্মীয় রান্নায় বা কাজে এটি ব্যবহার করা হয় না। এজন্য অনেকে এটিকে আমিষ মনে করেন।
তবে প্রচলিত ভাষা অনুযায়ী আমিষ খাদ্য বলতে প্রাণিজ প্রোটিন যুক্ত আহারাদি। আর নিরামিষ খাদ্য বলতে প্রাণিজ প্রোটিন বাদ দিয়ে যে খাবার অর্থাৎ উদ্ভিদ থেকে পাওয়া উৎস থেকে প্রাপ্ত খাবারেই প্রোটিন পাবেন। তবে দুধ জাতীয় খাবার নিরামিষ এর অন্তর্ভূক্ত।
অনেকেই মনে করেন, পেঁয়াজ যেহেতু মাংস এবং অন্য রান্নায় ব্যবহৃত হয়, তাই পেঁয়াজকে আমিষ মনে করা হয়৷ তাই এই বিভ্রান্তিতে না থেকে বাঙালিরা নিরামিষ খাবারে পেঁয়াজ বাদই রাখেন।
তবে পেঁয়াজ আমিষ হোক বা নিরামিষ এটি স্বাস্থ্যগুণে ভীষণ উপকারী। ক্যানসারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখে। পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার যা ইমিউনিটি বাড়ায়, হাড় শক্ত করে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।