জুমবাংলা ডেস্ক : সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে এখনো বাজারে মিলছে না ডিম। উল্টো গত কয়েক দিনের বৃষ্টির অজুহাতে আবারও ডিমের দাম হালিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থায় গতকাল রবিবার আরো পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এবার পেঁয়াজ বিক্রি করতে মাঠে নামছে।
দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ঢাকা মহানগরে টিসিবির পরিবার কার্ডধারীদের মধ্যে ৩৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। আজ সোমবার থেকে এই দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হবে। গতকাল টিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম বেঁধে দেয়।
এর মধ্যে প্রতি পিস ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয় ১২ টাকা। এই দাম কার্যকরে মাঠে নামে ভোক্তা অধিদপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসন। দেশের বিভিন্ন স্থানে চালানো হয় অভিযান, জরিমানাও করা হয়। তার পরও তিন পণ্যের বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকর হয়নি বাজারে।
নতুন করে ডিম আমদানির অনুমতি পাওয়া পাঁচ প্রতিষ্ঠান হলো ইউনিয়ন ভেঞ্চার লিমিটেড, জে এফ জে প্যারাডাইস কানেকশন, লায়েক এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স লাকি এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স পিংকি ট্রেডার্স। এর আগে দুই দফায় ১০টি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে ১০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
চলতি সপ্তাহেই প্রথম চালান
আমদানির অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, আগের অনুমতি পাওয়া ডিম আমদানির ঋণপত্র খোলা শুরু হয়েছে এবং ভারত থেকে চলতি সপ্তাহেই ডিমের প্রথম চালান আসবে। তবে মোড়কজাত করে তা বাজারে ছাড়তে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ডিম আমদানির অনুমোদন পাওয়া একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভারত থেকে আমদানি করা ডিম দেশে এলে প্রতিটি ডিম বাজারে ১০ টাকায় বিক্রি হতে পারে।
এখন বাজারে প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে সাড়ে ১২ টাকায়। কাস্টমস ট্যারিফের তালিকা (২০২৩-২৪) অনুযায়ী, ডিমের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ও ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ রয়েছে। তাতে পণ্যটি আমদানিতে মোট শুল্ক-করভার ৩৩ শতাংশ। এই শুল্কহারেই ডিম আমদানির আইপি পেয়েছেন আমদানিকারকরা। ফলে ১০০ টাকার ডিম আমদানিতে তাদের ৩৩ টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হবে।
সর্বোচ্চ দুই কেজি
টিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক বছরের আলোকে ও পেঁয়াজের খারাপ মৌসুমের বিবেচনায় সোমবার থেকে পর্যায়ক্রমে ঢাকা মহানগরের কার্ডধারী ভোক্তাদের কাছে ৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। তবে এ কার্যক্রম টিসিবির আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে আসাসাপেক্ষে সরবরাহ করা হবে। একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
দেশে পেঁয়াজের বাজার বেশ কিছুদিন ধরেই চড়া। দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের পেঁয়াজের দামই বাজারে গত কয়েক দিনে বেড়েছে। এক সপ্তাহের কম সময়ের ব্যবধানে কেজিতে দেশি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অনেক স্থানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়।
টিসিবির পরিবার কার্ডধারীদের মধ্যে সাধারণত চিনি, সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল বিক্রি করা হয়। কোনো কোনো মাসে চালও বিক্রি করা হয়েছে। এ ব্যবস্থায় খোলাবাজারের তুলনায় কম দামে কার্ডধারীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য কিনতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।