জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) ঢুকে অনলাইন ভার্সনে বই পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন রংপুর আঞ্চলিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের উপপরিচালক (ডিডি) মো. আব্দুর রশিদ। সেই বই প্রিন্ট করেও পড়া যাবে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, রংপুর বিভাগের আট জেলায় প্রাথমিকে বই এসেছে ৪৪ শতাংশ। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড়ে ৫ শতাংশ বই পেয়েছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বিভাগ।
আর মাধ্যমিক পর্যায়ে বই এসেছে ৩৫ শতাংশ।
আগামী ২০ তারিখের মধ্যে সব ক্লাসের সব বই প্রদানের কথা বলে রশিদ বলেন, ‘আমরা বাচ্চাদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছি। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদরাসা সব প্রতিষ্ঠানে আমাদের আংশিক বই এসেছে। আগামী ৫ তারিখের মধ্যে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত শতভাগ বই পাব।
’
এই অঞ্চলের মাধ্যমিক শিক্ষার শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বই আসা মাত্রই আমরা বই পৌঁছে দিচ্ছি। আজ সকালেও যে বই এসেছে তা দিয়েছি। ছয়টি জেলাতে আংশিক বই এসে গেছে। গাইবান্ধা ও লালমনিরহাটে আজ রাতের মধ্যে বই আসার কথা।
ম্যাক্সিমাম বই ৩৫ শতাংশ পেয়েছি। কিছু কিছু বই রাস্তা দূরত্বের কারণে পাইনি। এখনো রাস্তায় আছে, সে কারণে ঘাটতিটা হয়েছে। ৫ তারিখের মধ্যে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই শতভাগ পাব। আর ২০ তারিখে অন্য সব বই পাব।
’
রংপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া সুলতানা বলে, ‘আমি নতুন চান্স পেয়েছি এই স্কুলে। আজ নতুন বই পেয়েছি। খুব ভালো লাগছে।’
রেখা খাতুন নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। কিন্তু সব বই পায়নি। সব বই না পেলে ছেলে-মেয়েদের মনে আনন্দ থাকে না।’
রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের আট জেলায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৮৭১ জন। এর মধ্যে গাইবান্ধায় পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৩৮৯, লালমনিরহাটে দুই লাখ ১৯ হাজার ৬৩০, নীলফামারীতে চার লাখ ৩৪ হাজার ২৯৯ দিনাজপুরে চার লাখ ৩৪ হাজার ৫২৮, ঠাকুরগাঁও দুই লাখ ৫৩ হাজার ৯২৯টি বই প্রয়োজন। রংপুরে পাঁচ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৯, পঞ্চগড় এক লাখ ৬৯ হাজার ৩৩১, কুড়িগ্রামে তিন লাখ ৫২ হাজার ১৭২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর জন্য এক কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার ১৫৭টি।
জানা গেছে, রংপুর জেলায় ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯০টি বইয়ের মধ্যে মিলেছে ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪২৫টি, এখানে ৭৫ শতাংশ বই পেয়েছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিস।
ঠাকুরগাঁও জেলার জন্য বই প্রয়োজন ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৮১৯টি। এর মধ্যে এসেছে পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার ৪৭৬টি। এই জেলার শিক্ষার্থীরা ৫২ শতাংশ বই পেয়েছে। পঞ্চগড় ছয় লাখ ১২ হাজার ৪৪০ বইয়ের মধ্যে ২০ হাজার ৫৪৮টি বই পেয়েছে। এই জেলায় মাত্র ৫ শতাংশ বই পেয়েছে তারা।
দিনাজপুরে ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ২৩১টি বইয়ের মধ্যে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ২১০টি বই পেয়েছে। এখানে তারা পেয়েছে ২৫ শতাংশ। নীলফামারীতে ১৮ লাখ ১১ হাজার ৮১৫টি বইয়ের মধ্যে সাত লাখ ৪৯ হাজার ৯৯৫টি পেয়েছে। এই জেলা পেয়েছে ৪১.৩৯ শতাংশ। লালমনিরহাটে আট লাখ ৮৩ হাজার ৭৬২ বইয়ের মধ্যে আট লাখ ১০ হাজার ৩৭২টি বই পেয়েছে। এই হিসাবে লালমনিরহাট ৯২ শতাংশ বই পেয়েছে। কুড়িগ্রামে ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ৩৩৪টি বইয়ের মধ্যে ৮৫ হাজর ৩৮০টি বই পেয়েছে। হিসাব অনুযায়ী পাঁচ দশমিক ৯৪ শতাংশ বই পেয়েছে তারা। গাইবান্ধা ১৯ লাখ ৪৯ হাজার ৮০২টি বইয়ের মধ্যে সাত লাখ ৭৯ হাজার ৬৮৪টি পেয়েছে। ৩৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ বই পেয়েছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিস।
এই মাসের মধ্যেই সব বই বিতরণের আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রাথমিক শিক্ষার রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা যেসব বই পেয়েছি তা শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম দিনেই বিতরণ করেছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।