জুমবাংলা ডেস্ক : নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা না পাওয়ায় স্বাভাবিক গতিতে ব্যবসায় ফিরতে পারছেন না অনলাইন ভিত্তিক উদ্যোক্তারা। এতে দীর্ঘ মেয়াদে এফ-কমার্স, ই-কমার্স ও ফ্রিল্যান্সারদের ক্ষতি আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই বারবার ইন্টারনেট বন্ধ না করে স্বাভাবিক গতি ধরে রাখার দাবি ই-ক্যাবের।
দেশে ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ায় ই-কমার্স, এফ-কমার্স, ই-লজিস্টিক ও ই-ট্যুরিজমে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি।
গত ২৮ জুলাই ফোর জি ইন্টারনেট চালু হলেও অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আগের গতিতে ব্যবসায় ফিরতে পারছেন না। বারবার ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে তাদের কার্যক্রম। শুক্রবার বেলা ১২টা থেকেও মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হয়।
ই-কমার্স খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাব জানায়, ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ফেসবুক ভিত্তিক উদ্যোক্তাদের বিক্রি এখনো ২৫ শতাংশ রয়েছে। আর অ্যাপ ও ওয়েব ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য বিক্রি কিছুটা বেড়ে প্রায় ৭০ শতাংশে উঠেছে। তবে এখনো স্বাভাবিক ব্যবসায় ফিরতে পারছেন না তারা।
ই-ক্যাবের সহ সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেননি। ইন্টারনেটের গতি যত বাড়বে, তাদের বিজ্ঞাপন তত বেশি মানুষের কাছে যাবে।’
দেশে অনলাইন ভিত্তিক উদোক্তাদের একটি বড় অংশ কাজ করেন আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে। তারা জানান, বার বার ইন্টারনেটের গতি কমায় আর্থিক ক্ষতি যেমন রয়েছে, তেমনি ক্রেতাদের কাছে আস্থার সংকটে পড়েছেন তারা।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান তানজিবা রহমান বলেন, ‘স্লো ইন্টারনেটের ভিত্তিকে যেসব কাজ করা যাচ্ছে তা কিন্তু আগের মতো হচ্ছে না। এতে করে আমরা কিন্তু ডেডলাইন মিস করে যাব। এর ফলে ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়ে যাবে।’
ব্যবসা স্বাভাবিক রাখতে ইন্টারনেট বন্ধ না করে তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থায় নেট চালুর দাবি উদ্যোক্তাদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।