জুমবাংলা ডেস্ক : অনলাইনে স্বর্ণ বিক্রির বিজ্ঞাপন। সামান্য ডাউনপেমেন্ট দিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি কিস্তিতে শোধ করা যাবে টাকা। টার্গেট শুধুমাত্র প্রবাসীরা। পুরোটাই প্রতারণার ফাঁদ। আর এ ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন শত শত প্রবাসী। এমন এক প্রতারক চক্রের দুজনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ পুলিশ কমিশনার (লালবাগ বিভাগ) মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, ’ম্যাসেজ টু কমিশনার’ এক প্রবাসীর অভিযোগ আমলে নিয়ে মাঠে নামেন গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হয় চক্রের দুজনকে। এর বাইরেও তন্ত্র, মন্ত্র আর ঝারফুঁকের বদৌলতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, যে কোনো সমস্যা সমাধানের নিশ্চয়তা দিয়েও তারা প্রবাসীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।
প্রবাসে থাকা স্বামী দেশে থাকা স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে নিয়ে চিন্তিত থাকাটা স্বাভাবিক। স্ত্রী-সন্তানদের সুরক্ষায় চেষ্টার কোনো কমতি নেই তাদের। এ ধরনের প্রবাসীদের টার্গেট করে অনলাইনে সক্রিয় এক শ্রেণির প্রতারক। তারা ২৪ ঘণ্টা মধ্যে বদজ্বীন থেকে মুক্তি, জাদু টোনা, বশিকরণ এমনকি বিচ্ছেদে পারদর্শী এ চক্রের সদস্যরা। প্রতারণার এ ভেল্কিবাজির ফাঁদ পাতা হয় শুধুমাত্র প্রবাসীদের জন্যই। আর এ ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকেই বলেও জানান তিনি।
মশিউর রহমান আরও বলেন,
এ চক্রের প্রতারণার আরেক হাতিয়ার অনলাইনে স্বর্ণালংকার বিক্রি। সামান্য পরিমাণ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে যে কোনো মূল্যের স্বর্ণালংকার ক্রয় করতে পারবেন প্রবাসীরা। এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি অনেক প্রবাসী। জুয়েলারি আইটেম বুঝে পাওয়ার আগেই, তারা প্রতারকদের নির্দেশনা অনুসরণ করে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন তাদের অ্যাকাউন্টে। সম্প্রতি এক প্রবাসী ম্যাসেজ টু কমিশনার এ এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আসে। অভিযোগ পাওয়ার পর সেটার ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারকদের শনাক্ত করার পর দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন,
অনলাইনে স্বর্ণালংকার কেনার আশায় রেমিটেন্স যোদ্ধারা বিকাশের মাধ্যমে তাদের কাছে ২০ হাজার, ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে। আমাদের জানা মতে, কয়েকশো রেমিটেন্স যোদ্ধা তাদের কাছে এ পরিমাণ টাকা দিয়েছে। টাকা দেয়ার পর পরই তাদের বিকাশ নাম্বার, মোবাইল ও হোয়াটসআপ নাম্বার বন্ধ হয়ে যায়। প্রবাসীদের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা।
আবার কিছু সরলমনা প্রবাসী বিশ্বাস করে বিনিয়োগ করেছেন প্রতারক কবিরাজদের ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখে। কিছুদিন পর তাদের (প্রতারক) উদ্দেশ্য হাসিল হওয়ার পর এইসব কবিরাজরাও তাদের ফেসবুক পেজ বন্ধ করে দেয়। এভাবেই তারা প্রবাসীদের ঠকিয়ে আসছিল।
এ ধরনের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রবাসীদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।