জুমবাংলা ডেস্ক : অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়তে অনলাইনে চালু করা হয়েছে ভূমি সেবা কার্যক্রম। এবার অনলাইনের এই কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে নতুন সফটওয়্যার। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরে বসেই মানুষ ঝামেলাহীনভাবে নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর, হোল্ডিং নম্বর ও খতিয়ানসহ ভূমি সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনাকে আরও বেশি জনবান্ধব করতে উন্নত সংস্করণে মিউটেশনের সঙ্গে সঙ্গে অটো হোল্ডিং সৃষ্টি ও হোল্ডিং নম্বর প্রদান, পূর্বের হোল্ডিং হতে জমি কর্তন, রেকর্ডিয় হোল্ডিং হতে বর্তমান হোল্ডিং পর্যন্ত ধারাবাহিকতার হোল্ডিং সৃজন, নাগরিক প্যানেল হতে এন্ট্রিকৃত হোল্ডিং খুঁজে বের করার সুবিধা, ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণের আধুনিক ক্যালকুলেটর সংযোজনসহ অন্যান্য সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে।
রবিবার রাজধানীর তেজগাঁও ভূমি ভবনে নতুন এই সফটওয়্যার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ ও প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভূমি উপদেষ্টা বলেন, ‘জনবান্ধব ভূমি সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ভূমি মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করছে ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প’। এ প্রকল্পের আওতায় একটি সমন্বিত ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি সেবার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। আজ (রবিবার) এগুলোর মধ্যে চারটি সফটওয়্যারের মানোন্নয়ন ও একটি নতুন উদ্ভাবিত সফটওয়্যার নতুনভাবে তৈরি করে জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হলো।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অটোমেশন প্রকল্পের অধীন নতুন সফ্টওয়্যার চালুর ফলে ঘরে বসেই মানুষ ঝামেলা ছাড়াই অনলাইনে নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর, হোল্ডিং নম্বর ও খতিয়ানসহ ভূমি সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সক্ষম হবেন। এতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, সামাজিক হানাহানি, মামলা-মোকদ্দমা হ্রাস পাবে এবং অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে।’
অনুষ্ঠানে এ এফ হাসান আরিফ বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের অন্যতম স্বপ্ন ছিল মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা। আর নিরাপদ বাসস্থান হচ্ছে অন্যতম মৌলিক অধিকার। এজন্য প্রয়োজন একখ- মানসম্মত ও নির্ভেজাল ভূমি। ২০১৭ সালে সারাদেশে অনলাইনে নামজারি সেবা চালু হলেও বর্তমানের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি উন্নততর সংস্করণ তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নামজারি আবেদন পদ্ধতি আরও সহজীকরণ করা হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন সিস্টেমের সঙ্গে ডাটা শেয়ারিংয়ের সুযোগ থাকায় নাগরিক আবেদনের অনেক তথ্য সিস্টেম হতে অটোমেটিক যাচাই করা যাবে। নামজারি প্রক্রিয়ার মধ্যেই অটো হোল্ডিং ও অটো সংশোধনের প্রভিশন থাকায় নাগরিকের ভোগান্তি আগের তুলনায় অনেক কমবে। একই জমি বারবার মিউটেশন হওয়ারও ঝুঁকি থাকবে না।
এদিকে রবিবার রাজধানীর ডেমরা করিম জুট মিলস্ মিলনায়তনে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর (ডি এল আর) আয়োজিত পঞ্চাশ দিনব্যাপী সার্ভে ও সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। এ কোর্সে বিসিএস (প্রশাসন) পুলিশ, বন ও রেলওয়ে এবং বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৫২ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।