আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়া দীর্ঘ দুই যুগের শাসনের অবসান ঘটিয়ে,বিদ্রোহীদের হাতে পতন হলো বাসার আল আসাদের।শুধু তাই নয় দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন,দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে শাসন করা প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ।
আসাদ দীর্ঘ ১৫ বছরের গৃহযুদ্ধ সামাল দিতে পারলেও, এবার মাত্র ১২ দিনে পতন ঘটল বাশার আল-আসাদের ২৪ বছরের শাসনামলের। গেল ২৭ নভেম্বর আলেপ্পোতে প্রবেশের পর অপ্রতিরোধ্য গতিতে সিরিয়ার একের পর এক শহর নিয়ন্ত্রণে নিতে থাকে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম।
তাহরির আল-শামের বিশাল সেনাবাহিনী না থাকলেও আট বছর পর আচমকা হামলা শুরুর মাত্র ১২ দিনের মাথায় পতন ঘটলো আসাদ সরকারের।
এর পেছনে বড় একটি প্রশ্ন উঁকি দেয়। কীভাবে এত দ্রুত পতন ঘটলো সিরিয়া সরকারের?
গৃহযুদ্ধের শুরুতে ২০১১ সালে আসাদ সরকারের সবচেয়ে বড় সহযোগী ছিল রাশিয়া এবং ইরান। রাশিয়ার বিমান এবং হিজবুল্লাহর সেনাবহরের সাহায্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের পিছু হটাতে সাফল্য পেয়েছিল সরকার। ঘুরিয়ে দিয়েছিল যুদ্ধের মোড়।
তবে, ইউক্রেন-রাশিয়া এবং ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের বদৌলতে এই বড় দুই মিত্র শক্তির সহযোগিতার অনুপস্থিতি বিপাকে ফেলে আসাদ সরকারকে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় সশস্ত্র বাহিনীর কার্যকারিতার অভাব।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কম বেতন এবং অভিজ্ঞতার অভাব সিরিয়ার সেনাদের কার্যকারিতা কমিয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত এক ব্রিটিশ কর্নেলের মতে, স্বজনপ্রীতির পরিপ্রেক্ষিতে সেনাদের নিয়োগ দিতো আসাদ সরকার। তাই দক্ষ সেনার বরাবরই অভাব ছিল বাহিনীতে। রুশ সেনাদের কাঁধে ভর করেই আগে বিদ্রোহীদের প্রতিরোধ করে আসছিলেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।