আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে দুষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আবারো চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় চিঠিতে উল্লেখ করা হলো, ‘মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টার নোটিশে’ পানি ছাড়া হয়েছে।
কেন্দ্রের আচরণের প্রতিবাদে দামোদর ভ্যালি জলাধার নিয়ন্ত্রণ কমিটি (ডিভিআরআরসি) থেকে রাজ্যের প্রতিনিধি প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছিলেন মমতা। সেইমত ডিভিসি বোর্ড থেকে সরে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ দফতরের সচিব শান্তনু বসু। ডিভিআরআরসি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাজ্যের প্রতিনিধি তথা সেচ দফতরের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার। ডিভিসি ছাড়াও পানি কমিশন, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে এই কমিটি গঠিত।
গত সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হয়েছিল। তার ফলে মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধারে পানি বেড়ে যায়। ডিভিসি পানি ছাড়ার পরেই পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।
গোটা পরিস্থিতির জন্য প্রথম থেকেই ডিভিসিকে দায়ী করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়খণ্ডকে বাঁচাতে বাঁধের পানি ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে বন্যা তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার। একে ‘ম্যান মেড বন্যা’ বলে অভিহিত করে মমতা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তিনি ডিভিসি-র সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করবেন।
মোদিকে লেখা চিঠিতে মমতা আরো জানিয়েছেন, ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে ডিভিসি-র চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। তিনি পানি না ছাড়ার অনুরোধ করেছিলেন। সেই অনুরোধ শোনা হয়নি। রাজ্য সরকার আড়াই লক্ষ কিউসেক পানি ছাড়া অনুমোদনই করেনি। রাজ্যের তরফে পানির পরিমাণ কমিয়ে প্রথমে ২.৩ লক্ষ কিউসেক এবং পরে দু’লক্ষ কিউসেক করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই অনুরোধ শোনা হয়নি।
এক বাড়ি থেকে অর্ধশত সাপের বাচ্চা উদ্ধার, যেন এক ভ.য়ংক.র সাপের আস্তানা
ডিভিসি উত্তর দিতে দেরিও করেছিল। যার ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। মমতা বলেন, ‘‘আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়েছে, আড়াই লক্ষ কিউসেক পানি ছাড়ার প্রয়োজন ছিল না। তা না হলে দক্ষিণবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি এত ভয়াবহ আকার ধারণ করত না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।