লাইফস্টাইল ডেস্ক : স.হ.বাস, স্বপ্নদোষ, ইচ্ছাকৃত বী.র্যপাত ও নারীদের হায়েজ-নেফাসের পর গোসল করা ফরজ হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট কিছু আমল করার জন্য গোসল করা জরুরিও বটে।
সাধারণত যত দ্রুত গোসল করা যায় ততই ভালো। হাদিসে সেরকমই উল্লেখ করা আছে। আলেমগণ গোসল ফরজ হওয়ার পর নামাজ, তওয়াফ, কোরআন তেলাওয়াত ও স্পর্শ করা এবং মসজিদে প্রবেশ করাতে নিষেধ করেন। এছাড়া যে কোনো কাজ করা যাবে।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তার সঙ্গে মদিনার কোনো এক পথে রসুলুল্লাহ (স.)-র দেখা হল। আবু হুরায়রা (রা.) তখন জানাবাতের (গোসল ফরজ) অবস্থায় ছিলেন। তিনি বলেন, আমি নিজেকে তখন নাপাক মনে করে সরে পড়লাম। পরে আবু হুরায়রা (রা.) গোসল করে এলেন।
পুনরায় সাক্ষাৎ হলে রসুলুল্লাহ (স.) জিজ্ঞেস করলেন, আবু হুরায়রা, কোথায় ছিলে? আবু হুরায়রা (রা.) বললেন, আমি জানাবাতের অবস্থায় আপনার সঙ্গে বসা সমীচীন মনে করিনি। তাই চলে গিয়েছিলাম। তখন নবীজী (স.) বললেন, সুবহানাল্লাহ্! মুমিন কখনো নাপাক হয় না। (বুখারি ২৭৯)
তবে অন্যান্য কাজ একেবারে নিষেধ না হলেও কোনো কাজ করার আগে গোপ.নাঙ্গ ধুয়ে নেয়া ও অজু করে করে নেয়ার কথা একাধিক হাদিসে এসেছে। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) জানাবাতের (গোসল ফরজ) অবস্থায় পানাহার কিংবা ঘুমানোর ইচ্ছা করলে নামাজের অজুর মত অজু করে নিতেন। (মুসলিম ৩০৫)
অনেকে ফরজ গোসল করতে দেরি হওয়ার কারণে নামাজ কাজা করে থাকে। ফরজ গোসল কখনো নামাজ কাজা করার জন্য ওজর হতে পারে না। এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব গোসল করে ওই নামাজ আদায় করে তওবা করতে হবে।
গোসল ফরজ হওয়া মানে শরীর নাপাক না। কেউ যদি মনে করে নারীদের গোসল ফরজ হওয়ার পর বা ঋতুস্রাব চলাকালে তার ঘরের কোনো কাজ করা যাবে না তাহলে এটা তার ব্যক্তিগত চিন্তা। ইসলামে এর কোনো ভিত্তি নেই। অজু ও গোসল শুধু ইবাদত করার জন্য করতে হয়। এছাড়া অন্য কোনো কাজের জন্য না। তবে সবসময় অজু-গোসল করে পবিত্র থাকার চেষ্টা করা ফজিলতপূর্ণ। তাই আগে আগে অজু ও গোসল করা উত্তম। উৎস: সময়নিউজটিভি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।