জুমবাংলা ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণঅভ্যুত্থান ও সরকারকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া, আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় নানা গুজব, অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র চলছে। পার্শ্ববর্তী দেশের মিডিয়াতেও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এই অপপ্রচার দেশেরও বিরুদ্ধে। এর বিরুদ্ধে প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে সরকার ও গণমাধ্যমকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সোমবার (১২ নভেম্বর) টেলিভিশন চ্যানেলের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, টেলিভিশন চ্যানেলের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে খোলামেলা, প্রাঞ্জল আলোচনা হয়েছে। সকালেও বিভিন্ন বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদক ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাসে দেশের গণমাধ্যমের অবস্থার কতটা পরিবর্তন হয়েছে, কতোটা স্বাধীনতা নিশ্চিত হলো, কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সবাই মোটামুটি সন্তোষ জানিয়ে বলেছেন, পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অবাধে ও বস্তুনিষ্ঠভাবে সংবাদ পরিবেশন করতে পারছেন। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে যে ধরনের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম ব্যবস্থা ছিলো এবং নানা সংস্থা থেকে ফোন দেয়া হতো, হেনস্থা করা হতো, সংবাদে পক্ষপাত করা হতো সেগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের সময় হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কিভাবে টেকসই হতে পারে, পরবর্তীতে যেকোনো সরকার আসলেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা যায় সেজন্য গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন কাজ করবে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন বিভিন্ন পক্ষের সমন্বয়ে গঠিত এবং বিভিন্ন পক্ষের সুপারিশক্রমেই রূপরেখা তৈরি করবে; কোনো কিছু ওপর থেকে চাপিয়ে দেয়া হবে না।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জুলাই আন্দোলনকে কীভাবে আরও জনস্মৃতিতে ধারণ করতে পারি, আন্দোলনের স্পিরিট এবং আহতদের আত্মত্যাগকে মনে করিয়ে দিতে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিগত আমলে যে দুর্নীতি, অপকর্ম, দুঃশাসন, গুম, খুন, লুটপাট হয়েছে সে তথ্যগুলো প্রচারের সময় এসেছে এখন।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে অনেক সাংবাদিক ছাত্র-জনতার পক্ষে কাজ করেছেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রাইস রেগুলেশন, পে চ্যানেল, বিদেশি চ্যানেলেও ওপর নীতিমালা, টিআরপি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইস্যুগুলো যৌক্তিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করবো।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা টেকসই করার একটি উপায় নীতিগত বা আইনগত সংস্কার। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল হতে যাচ্ছে। অন্যান্য আইনও পর্যালোচনার মধ্যে আছে। সংস্কার কমিশন আইনগুলো নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান দেবেন। সরকার মনে করে, আইন যতো কম হবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ততো বৃদ্ধি পাবে। সাংবাদিকদের বেতন যথাসময়ে দিতে মালিকপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।
নিজেকে উপদেষ্টামন্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত করতে ড. ইউনূসের কাছে আবেদন
নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রথিতযশা কিংবা দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করছেন, এমন অনেক ব্যক্তি গত আমলে সচিবালয়ে ঢুকতে পারেননি। বিগত আমলে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের কোনো নীতিমালাই ছিলো না। দলীয় কর্মী, যারা সাংবাদিক নয় এমন লোককেও অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেয়া হয়েছে। সে জঞ্জালগুলো পরিষ্কার করতে হবে। এক্ষেত্রে যদি কোনো ভুলত্রুটি হয়ে থাকে, অপরাধ না করেও কারো নাম আসলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মূলত যারা সাংবাদিক নয়, সাংবাদিকদের নীতিমালার মধ্যে পড়ে না, ব্যক্তিগত নানা সুবিধার মধ্য কার্ড পেয়েছিলো; তাদের কার্ড বাতিল করা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে আইনগত ও আর্থিক অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।