জুমবাংলা ডেস্ক : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আন্দোলন-সহিংসতার মধ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পর সংকট উত্তরণে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে ‘রাজি’ হয়েছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস।
ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোরশেদ মঙ্গলবার বলেছেন, “হ্যাঁ, কনফার্ম। স্যার ছাত্রদের ওই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন।”
সোমবার শেষ রাতের দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে ইউনূসের নাম প্রস্তাব করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, যাদের আন্দোলনে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের সরকারের পতন ঘটে।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে সর্বজন গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথেও আমাদের কথা হয়েছে। তিনি ছাত্র জনতার আহ্বানে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে এই গুরুদায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন।”
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে তৈরি হওয়া নানান রকম বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রায় একমাস ধরে ছাত্র আন্দোলন এ মাসের শুরুতে সরকারপতনের এক দফার আন্দোলনের রূপ পায়।
প্রবল গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে সোমবার দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এর পর থেকে চারদিকে অরাজকতা বিরাজ করছে; অনেক জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সিভিল প্রশাসনে শূন্যতা দেখা দিয়েছে।
ভোর রাতের ভিডিও বার্তায় নাহিদ বলেন, “আমাদের অভ্যুত্থান ও বিপ্লবের পর দেশে আরাজকতা ও নাকশকতা করছে ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসররা। বিভিন্ন জায়গায় এখনও গোলাগুলি চলছে। মন্দিরে হামলা হচ্ছে, নাশকতা ও লুটপাট হচ্ছে। আমাদের যে অভ্যুত্থান তাকে নস্যাৎ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই নাশকতা করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমরা মুক্তিকামী ছাত্র জনতাকে সজাগ এবং সতর্ক থাকতে আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, আমরা সে সরকারের প্রস্তাবের জন্য ২৪ ঘন্টা সময় নিয়েছিলাম। জরুরি পরিস্থিতি মোতাবেক আমরা এখনই তার একটি রূপরেখা ঘোষণা করছি।
“আমরা সকালের মধ্যেই এই সরকার গঠনের প্রক্রিয়া দেখতে চাই। রাষ্ট্রপতির কাছে আহ্বান থাকবে যে, দ্রুত সময়ের মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হোক। এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি সদস্যদের নামও আমরা সকালের মধ্যে ঘোষণা করব৷”
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা বিভিন্ন দল এবং আন্দোলনকারী ছাত্রদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
পরে রাত সোয়া ১১টার দিকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি সংসদ ভেঙে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার ঘোষণা দেন।
তবে কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় কাদের নিয়ে সেই সরকার হবে, তা তিনি তখন স্পষ্ট করেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।