ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন শুধুমাত্র একজন বলিউড তারকা নন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী। তার সৌন্দর্য, মেধা এবং অভিনয় প্রতিভা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। ২০০৪ সালে জেন অস্টেনের ক্লাসিক উপন্যাস ‘প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’ অবলম্বনে নির্মিত ‘ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’ ছবির মাধ্যমে হলিউডে অভিষেক হয় তার। এই হলিউড যাত্রা তখন বলিউডের অন্দরে আলোচনার এক প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছিল।
এদিকে ছড়িয়ে পড়েছে বলিউড তারকা ঐশ্বরিয়া রাইয়ের অন্তরঙ্গ ছবি। এরকম গুঞ্জনে যখন সয়লাব সামাজিকমাধ্যম ঠিক তখন সেগুলোকে ভুয়া দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হলেন ঐশ্বরিয়া। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিল্লি হাইকোর্টে অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী।
দিল্লি উচ্চ আদালতের পক্ষে জানানো হয়েছে, আগামীতে বিনা অনুমতিতে অভিনেত্রীর নাম ও ছবি ব্যবহার করা যাবে না। এতে অভিনেত্রীর ব্যক্তি অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে কিংবা ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে।
জানা গেছে- ঐশ্বরিয়ার ছবি ব্যবহার করে অনেক উদ্যোক্তা কফি মগ, টি-শার্টের মতো নানা সামগ্রী তৈরি করেছেন। এ ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ঐশ্বরিয়ার একাধিক ছবির স্বাভাবিকতা নষ্ট করে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আদালতে অভিনেত্রীর বক্তব্য শুনেছেন বিচারপতি তেজস করিয়া। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে এই ধরনের ঘটনা পুনরায় যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি।
ঐশ্বরিয়া রায়ের পক্ষে লড়েন আইনজীবী সন্দীপ শেঠি।
আদালত জানিয়েছে, ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে ঐশ্বরিয়ার কোনো ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি ঐশ্বরিয়ার সংক্ষিপ্ত নামও ব্যবহার করা যাবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।