জুমবাংলা ডেস্ক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘উপহার হিসেবে নয়, ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানি করলে ডলার আসে। আমাদের এই মুহূর্তে ডলারের কেমন প্রয়োজন সেটা আপনারা জানেন। সেটা খুব ছোট করে দেখার মতো টাকা নয়। পাশাপাশি ওপার থেকে যারা ইলিশ চাইছেন, তারাও কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেক সমর্থন দিয়েছেন। সেটি আমরা সবাই দেখেছি।’
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছোট ফেনী নদীর ভেঙে যাওয়া মুছাপুর রেগুলেটর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এদিকে সমস্যাগুলো সরকারের চশমা দিয়ে না দেখে মানুষের চশমা দিয়ে দেখার জন্যই মাঠে এসেছেন মন্তব্য করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, মাঠে আসার কারণ হচ্ছে সমস্যাটা সরকারের চশমা দিয়ে না দেখে মানুষের চশমা দিয়ে দেখা, কিন্তু মানুষ আর সরকার ভিন্ন সত্ত্বা হলেতো আর পরিবর্তন হবে না। মানুষকে আর সরকারকে এক জায়গায় এসে একমত হয়ে সমস্যার সমাধানে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ভেঙে যাওয়া রেগুলেটর পুনস্থাপন না করা ছাড়া এ অঞ্চলের ভাঙন ঠেকানো কোনোভাবেই সম্ভব না। তবে তা সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। কিন্তু এ মুহূর্তে ভাঙন যাতে না বাড়ে এবং লোনাপানি লোকালয়ে যাতে না ঢুকে সেটা সাময়িকভাবে ঠেকাতে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রৌকশল বিভাগ ও স্থানীয়দের মতামত গ্রহণ করে তড়িৎ কিছু ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ রেগুলেটর দিয়ে চলতি বছর যে পরিমাণ পানি প্রবাহিত হয়েছে, তা ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত হওয়ার কারণে রেগুলেটরটি ভেঙে গিয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে মন্তব্য করে এ উপদেষ্টা বলেন, তারপরও কেন এত অল্প সময়ের মধ্যে রেগুলেটরটি উজানের পানিতে ভেঙে গেল তা তদন্ত করার জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পরে তিনি ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সান্ত্বনা দেন এবং তাদের পুনর্বাসনের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। পরে দুপুর ১টায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নোয়াখালীতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা এবং রেগুলেটর ভেঙে যাওয়া নিয়ে গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমিন ফয়সালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।