আবির হোসেন সজল : লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চলমান চোরাচালান ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন বিওপির বিশেষ টহলদল ০৩টি পৃথক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভারতীয় কম্বল এবং ফেন্সিডিল ও গাঁজা জব্দ করেছে।

বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে বিজিবি জানতে পারে যে, চোরাকারবারীরা সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার করবে। উক্ত তথ্যানুযায়ী, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ১২:১০ মিনিটে অনন্তপুর বিওপি’র আওতাধীন পশ্চিম অনন্তপুর (থানা-ফুলবাড়ী, জেলা-কুড়িগ্রাম) নামক স্থানে বিজিবির টহলদল অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালীন কতিপয় সন্দেহজনক ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করে বিজিবি টহল দলের সদস্যরা ধাওয়া করলে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা মালামাল ফেলে দৌড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। পরবর্তীতে ফেলে রাখা মালামাল তল্লাশী করে ভারতীয় ১৭টি কম্বল উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, একই দিন রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটায় গোলকমন্ডল বিওপি’র আওতাধীন নামাটারি (থানা-ফুলবাড়ী, জেলা- কুড়িগ্রাম) নামক স্থানে টহল পরিচালনাকালীন চোরাকারবারীদের গতিবিধি টের পেয়ে টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা মালামাল ফেলে দৌড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। পরবর্তীতে ফেলে রাখা মালামাল তল্লাশী করে ৪.৭ কেজি ভারতীয় গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক আড়াইটায় বুড়িরহাট বিওপির টহলদল সীমান্তের কাছাকাছি কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের চলাচল লক্ষ্য করে তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের সাথে থাকা মালামাল ফেলে দ্রুত ভারতের দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে ভারতীয় ৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত পণ্য ভারতীয় কম্বল ১৭ টি, যার বাজার মূল্য ১,১০,৫০০/- টাকা ও ভারতীয় গাঁজা ৪.৭ কেজি, যার বাজার মূল্য ১৬,৪৫০/- টাকা এবং ভারতীয় ফেন্সিডিল ৫০ বোতল, যার বাজার মূল্য ২০,০০০/- টাকাসহ সর্বমোট বাজার মূল্য ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯৫০ টাকা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চোরাকারবারীদের তথ্য সংগ্রহপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার “লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি” বলেন, “দেশের যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। মাদক পাচার রোধে সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে বিজিবি’র গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।”
দলিল আছে কিন্তু দখল নেই, রেকর্ডও নেই- জমি কি আদৌ পাওয়া যাবে?
এছাড়া তিনি স্থানীয় জনগণকে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



