বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : চাইনীজ মোবাইল ব্র্যান্ড অপো, রিয়েলমি এবং ওয়ান প্লাসের ব্যবহাকারীদের জন্য এক প্রকার খারাপ সংবাদই বটে। কারন, হ্যাকিং ফোরাম ’লিংবেজে’ এই তিন ব্র্যান্ডের মোবাইল ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁস করা হয়েছে।
সাইবার এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হ্যাকার ফোরামটিতে ওয়ানপ্লাস, অপো ওয়ান প্লাসের থাইল্যান্ডের ব্যবহাকারীদের তথ্য হ্যাকাররা বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছে। হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর নাম, মোবাইল নাম্বার, ই-মেইল অ্যাড্রেস এবং ফিজিক্যাল অ্যাড্রেসের অ্যাক্সেস নিয়েছে বলে দাবি করেছে। যদিও তারা কিভাবে এসব জায়গায় এক্সেস নিয়েছে তা পরিষ্কার নয়, তবে ফোরামে দেওয়া ডেটা গ্রাহকের জন্য উদ্বেগের বিষয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ডেটা হ্যাকারদের হাতে থাকলে ব্যক্তি পরিচয় এবং আর্থিকসহ নানান সাইবার ক্রাইমের হুমকি থাকে। তথ্য বেহাতের এই ঘটনার পর উল্লেখিত তিন ব্র্যান্ডের ব্যবহারকারীদের তাদের মূল্যবান ডেটা সংরক্ষনে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন, টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন এবং তাদের আর্থিক লেনদেনে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত ব্র্যান্ডগুলিকে গ্রাহকের ডেটা সংরক্ষনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং প্রযুক্তির এই যুগে গ্রাহকের ডেটা সংরক্ষণকে সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। “Know your mobile’s” এর ২০২১ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরেকটি জনপ্রিয় মোবাইল ব্র্যান্ড শাওমি তাদের গ্রাহকের হ্যান্ডসেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তাদের কেন্দ্রীয় সার্ভার চীনে প্রেরণ করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দামে কম এবং উন্নত ফিচারের কারনে চাইনীজ ব্র্যান্ডগুলো সহজেই মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে। তাই এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যাকডোর বা নিরাপত্তা দূর্বলতা রাখা মোটেই আইনসিদ্ধ নয়।
কোন কোন বিশেষজ্ঞ বলছেন, অনেক চীনা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সরকারের সাথে সংযোগ রেখে কাজ করে। তাই কোন ব্র্যান্ড যখন গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ করে তা নিঃসন্দেহে উদ্বেগের বিষয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু কিছু চাইনীজ ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনে প্রি-ইন্সটল কিছু অ্যাপ থাকে যা গ্রাহকের অনুমতি ছাড়াই তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। তাই স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ফোনের উৎপাদনকারী দেশ, কোন ব্র্যান্ড, এবং কি উদ্দ্যেশে কেনা হবে তা বিবেচনার কথা বলা হয়েছে।
”Ars technical -2021’ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিথুনিয়ান ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি) তিনটি চাইনীজ ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনের উপর সিকিউরিটি অ্যাসেসমেন্ট করেছে মডেল গুলি হলো হুয়াওয়ে পি৪০ ফাইভজি, শাওমি এমআই ১০টি ফাইভজি এবং ওয়ান প্লাস ৮টি ফাইভজি।
এনসিএসসি কে উদ্ধৃত করে সাইবার এক্সপ্রেস বলছে, শাওমির উল্লেখি মডেলের স্মার্টফোনটির একটি সফটওয়্যার মডিউল আছে যা ব্যবহারকারীর তথ্য চাইনীজ সরকারের সাথে আদান প্রদান করে। অন্যদিকে, হুয়াওয়ে স্ট্যান্ডার্ড গুগল প্লে অ্যাপ্লিকেশন স্টোরকে ক্ষতিকর থার্ড পার্টি সাবস্টিটিউটস দিয়ে পরিবর্তন করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।