জুমবাংলা ডেস্ক : গুলশান ও বনানী এলাকায় প্রতি বর্গমিটারে ৬ হাজার টাকা কর দিয়ে ফ্ল্যাট বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী এলাকায় প্রতি বর্গমিটারে মাত্র সাড়ে ৩ হাজার টাকা কর দিয়ে ফ্ল্যাট বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এদিন বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থবিলের তথ্য অনুযায়ী, আগামী এক বছরের জন্য অপ্রদর্শিত জমি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট বৈধ করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে একেক এলাকার জন্য বর্গমিটার অনুসারে নির্দিষ্ট কর দিতে হবে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট হারে অর্থ পরিশোধ করে জমি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট বৈধ করা যাবে।
অর্থ বিলে বলা হয়েছে, আয়কর আইন ২০২৩ বা অন্য কোনও আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, আর কর্তৃপক্ষসহ অন্য কোনও সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যক্তির কোনও পরিসম্পদ অর্জনের উৎসের বিষয়ে কোনও প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না। অর্থ বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, ১ জুলাই ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ এর মধ্যে ২০২৪-২৫ করবর্ষের রিটার্ন বা সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের আগে নির্দিষ্ট হারে কর পরিশোধ করে ২০২৪-২৫ করবর্ষের রিটার্নে অপপ্রদর্শিত পরিসম্পদ প্রদর্শন করতে পারবেন।
অপ্রদর্শিত স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের ব্যবহার ও ভূমির বিভিন্ন করহার নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা জেলার গুলশান থানা, বনানী, মতিঝিল, তেজগাঁও, ধানমন্ডি, ওয়ারী, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, শাহবাগ, রমনা, পল্টন, কাফরুল, নিউমার্কেট ও কলাবাগান থানার অন্তর্গত সব মৌজার স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ৬ হাজার টাকা এবং ভূমির করহার নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি বর্গমিটারে ১৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া ঢাকা জেলার বংশাল থানা, মোহাম্মদপুর, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা মডেল, ক্যান্টনমেন্ট, চকবাজার, কোতোয়ালি, লালবাগ, খিলগাঁও, শ্যামপুর, শাহজাহানপুর, মিরপুর মডেল, দারুস সালাম, দক্ষিণখান, উত্তরখান, তুরাগ, শাহ আলী, সবুজবাগ, কদমতলী, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, ডেমরা, আদাবর, গেন্ডারিয়া, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর, উত্তরা পশ্চিম, মুগদা, রূপনগর, ভাসানটেক, বাড্ডা, পল্লবী ও ভাটারা থানা; চট্টগ্রাম জেলার খুলশী থানা, পাঁচলাইশ, পাহাড়তলী, হালিশহর ও কোতোয়ালি থানা; নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানা, সোনারগাঁ, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর থানা এবং গাজীপুর জেলার সদর থানার অন্তর্গত সব মৌজার স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং ভূমির করহার ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থবিলে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার ও ধামরাই উপজেলা; চট্টগ্রাম জেলার আকবর শাহ থানা, ইপিজেড, কর্ণফুলী, চকবাজার, চান্দগাঁও, ডবলমুরিং, পতেঙ্গা, বন্দর, বাকলিয়া, বায়েজিদ বোস্তামি ও সদরঘাট থানা; গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানা, কালীগঞ্জ, বাসন, কোনাবাড়ী, গাছা, টঙ্গী পূর্ব ও টঙ্গী পশ্চিম থানা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানা ও আড়াইহাজার উপজেলার অন্তর্গত সব মৌজার স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং ভূমির করহার প্রতি বর্গমিটারে তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ক্রমিক নম্বর ১ থেকে ৩ এর অন্তর্ভুক্ত নয়, কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ, ঢাকা উত্তর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন ব্যতীত অন্যান্য সিটি করপোরেশন ও অন্য কোনও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং জেলা সদরে অবস্থিত সব পৌরসভার অন্তর্গত সব মৌজার স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে এক হাজার টাকা ও ভূমির করহার প্রতি বর্গমিটারে দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থবিলে আরও বলা হয়েছে, ক্রমিক নম্বর ১ থেকে ৪ নম্বরের অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন অন্য যেকোনও এলাকার সব মৌজার স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ৮৫০ টাকা ও ভূমির করহার প্রতি বর্গমিটারে এক হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ক্রমিক নম্বর ১ থেকে ৫-এর অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন অন্য যেকোনও এলাকার সব মৌজার স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ৫০০ টাকা ও ভূমির করহার প্রতি বর্গমিটারে ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে অর্থবিলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।