বিনোদন ডেস্ক : বলিউড তারকারা সুপারস্টার হওয়ার পর আজ অনেক বিলাসবহুল জীবন কাটান। দামি দামি গাড়ি, বাড়ি, বিলাসবহুল লাইফ স্টাইল, কোনও কিছুরই অভাব থাকে না তাদের। তবে জানেন কি একটা সময় ছিল যখন বলিউড তারকাদের অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। অর্থের অভাবে একরকম দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন তারা। এক নজরে দেখে নিন এই তালিকায় রয়েছেন কোন কোন সুপারস্টার।
শাহরুখ খান : শাহরুখ খান তার কেরিয়ার শুরুর দিকে আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছিলেন। খুব কম বয়সে তিনি তার বাবাকে হারিয়ে ফেলেন। একটা সময় ছিল যখন তাকে রেস্তোরাঁতে কাজ করতে হয়েছে সংসার চালানোর জন্য। মায়ের কাছ থেকে সামান্য কিছু টাকা নিয়ে তিনি দিল্লি ছেড়ে চলে এসেছিলেন মুম্বাইতে। এখানে এসেও অনেক স্ট্রাগল করার পর তিনি হয়ে ওঠেন সুপারস্টার।
অমিতাভ বচ্চন : অমিতাভ বচ্চন সুপারস্টার হয়ে ওঠার পরেও আর্থিক সংকটের মুখে পড়েন। কেরিয়ারের শুরু থেকে এ পর্যন্ত তাকে মাত্র একবারই চরম সংকটের মুখে পড়তে হয়েছিল। সময়টা ছিল ২০০০ সাল। ওই সময় অমিতাভ বচ্চন কর্পোরেশন লিমিটেড কোম্পানি ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি ঋণের দায়ে জর্জরিত ছিল।
প্রীতি জিন্টা : বলিউডের অন্যতম নামী অভিনেত্রী ছিলেন প্রীতি। ৯০ এর দশক থেকে ২০০০ এর দশক পর্যন্ত তিনি একাধিক সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেন। বহু নামিদামি তারকাদের বিপরীতে অভিনয় করেছেন এই সুন্দরী। তবে ২০১৩ সালে তাকেও কঠিন সময় পার হতে হয়। প্রীতি ওই সময় প্যারিসে ‘ইশক’ নামের একটি ছবি প্রযোজনা করছিলেন। তখন তিনি আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হন এবং সালমান খান তাকে সাহায্য করেন।
গোবিন্দা : বলিউডের সুপারস্টারদের মধ্যে গোবিন্দার নাম না নিলেই নয়। তিনিও একজন এমন সুপারস্টার যিনি জীবনে এমন অন্ধকারময় দিক দেখেছেন। গোবিন্দা একবার নিজেই সেই সম্পর্কে মুখ খুলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন কীভাবে তাকে আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হয় এবং তিনি কীভাবে সেই পথ পার হয়ে এসেছেন।
রাজ কাপুর : ভারতীয় সিনেমাকে সাফল্যের দোরগোড়া পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার নেপথ্যে রাজ কাপুরের অনেক বড় অবদান রয়েছে। তিনি দেশের সবথেকে বড় সুপারস্টারদের মধ্যে একজন। অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি পরিচালনা, প্রযোজনাতেও তার হাত ছিল। ১৯৭০ সালে তার ‘মেরা নাম জোকার’ ছবিটি বক্স অফিসে রীতিমত ফ্লপ হয়। তখন অনেক বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।