জুমবাংলা ডেস্ক : ব্যাংক খাতসহ অর্থপাচার, কর ও ভ্যাট সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। তবে কী পরিমাণ ঋণ লাগবে সেটি এখন পর্যন্ত আইএমএফকে জানানো হয়নি।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে আইএমএফের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানারকম সংস্কার ও পদক্ষেপ নেয়ার জন্য রিসোর্স দরকার। আমরা যতটুকু পারি দেশীয় সম্পদ আহরণ করব, কিন্তু কিছু কিছু জিনিস আছে, যেগুলোতে বিদেশি সহায়তা লাগবে। এর মধ্যে অন্যতম আইএমএফ, সংস্থাটি ব্যালেন্স সাপোর্ট দেয়। বিদেশি সহায়তা ব্যাংকিং সেক্টর ও অন্যান্য সেক্টরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আইএমএফের একটা মিশন দেশে এসেছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘সফরে আমাদের সম্ভাব্য কী কী দরকার সেটি জানবে সংস্থাটি। আমরা বলেছি সংস্কারের বিষয়ে আমরা মোটামুটি পদক্ষেপ নিয়েছি, ব্যাংকিং সেক্টরসহ অন্যান্য সেক্টরে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। কিছু সময় লাগবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের রিসোর্স গ্যাপ রয়েছে। কি পরিমাণ অর্থ লাগবে, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ওরা বিস্তারিত আরও আলাপ করবে। আমার সঙ্গে নীতি ও মূল উদ্দেশ্য নিয়ে আলাপ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বসবে। ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট ও ব্যাংক রিফর্ম নিয়ে কী করা হবে, সেটা জানবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গেও বসবে।’
‘আমাদের ম্যাক্রো পলিসি টিম আছে। বিস্তারিত আলাপ করে তাদের নিজস্ব ভিউ ও তারপর অক্টোবর মাসে বিশ্বব্যাংক মিটিংয়ে যাবে, সেখানে পলিসি মেকারদের সঙ্গে আলোচনা করবে। তারপর প্রেজেন্ট প্রোগ্রাম নিয়ে আলাপ হবে। আমরা ফিউচার কিছু….রিকোয়েস্ট করেছি। আমরা এখনো সঠিক বলিনি, বলেছি আমাদের রিসোর্স গ্যাপ ফরমালি জানাব। সেটা নিয়ে আলাপ হবে,’ বলেন ড. সালেহউদ্দিন।
তাদের কাছে কী চেয়েছেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রিসোর্স, কারিগরি সহায়তা যেটা ব্যাংক সেক্টর রিফর্মের জন্য, মানিলন্ডারিংয়ের জন্য, তারপর ট্যাক্স রিফর্মের জন্য, ইনকাম ট্যাক্স, ভ্যাট রিফর্মের জন্য। শুধু আইএমএফ না, অন্যদের কাছেও কিছু চেয়েছি। কারা কী সাহায্য দেবে, সেটা কো-অর্ডিনেট করে আইএমএফকে আমরা স্পেসিফিক বলবো ওদের কাছ থেকে আমাদের কী কী সাহায্য দরকার। ডুপ্লিকেশন না করে সবাই যেন একযোগে প্রচেষ্টা চালাতে পারে অর্থাৎ দু-তিনটি সংস্থা একই কাজ করবে কিন্তু রিসোর্স লাগবে বেশি। সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
এদিকে, বাংলাদেশকে বাড়তি ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলার ঋণ দেয়া যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের একটি মিশন এখন ঢাকায় অবস্থান করছে। আইএমএফের গবেষণা শাখার উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপার্জিওর এই মিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন।
আইএমএফের কর্মকর্তারা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। বৈঠক করবেন সরকারের অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে। আর এসব বৈঠকে বাংলাদেশে আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনার পাশাপাশি আলোচনা হবে নতুন ঋণ অনুমোদন নিয়েও।
১৯৭৪ সালের ১ টাকা থাকলে যত টাকা পাবেন আপনি, জেনে নিন বর্তমান সময়ের দাম
সূত্র বলছে, আইএমএফের সঙ্গে এবারের বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় কর আদায় বৃদ্ধি, কম ঋণ গ্রহণ ও ভর্তুকি কমানো। তবে অন্তর্বর্তী সরকারকে গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধির চাপও দিতে পারে সংস্থাটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।