বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : সৌরঝড়ের এমন ধাক্কা ইদানিংকালের মধ্যে সহ্য করতে হয়নি পৃথিবীকে। এর থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় নেই। কতদিন সহ্য করতে হবে এই যন্ত্রণা। সৌরঝড়ের দাপট সামাল দেওয়ার মত কোনও প্রযুক্তি পৃথিবীর হাতে নেই। বিজ্ঞানও এখানে অসহায়। পৃথিবী অসহায়। যবে সূর্য এই তাণ্ডব থামাবে সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
ভূচৌম্বকীয় এই ঝড় সূর্যে অতি ভয়ংকর বিস্ফোরণের ফল। যার লেলিহান ধাক্কা সোজা এসে পড়েছে পৃথিবীর ওপর। গত শুক্রবার প্রথমবার এই সূর্যের প্রহার এসে পড়ে পৃথিবীতে। যা যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে পাওয়ার গ্রিড সর্বত্র তার বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
এই ভয়ংকর সৌরঝড় গত ২০ বছরে পৃথিবীর ওপর আছাড় মারেনি। ২০০৩ সালে শেষবার এমন এক ঝড়ের মুখে পড়তে হয়েছিল পৃথিবীকে। তারপর এই ২০২৪ সালে এসে তা ফের হানা দিল নীল গ্রহে।
এখন প্রশ্ন হল কবে পর্যন্ত চলবে সূর্যের এই দাপাদাপি? মার্কিন ন্যাশনাল ওসিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সব খতিয়ে দেখে জানিয়েছে এই ঝড় রবিবার রাত পর্যন্ত স্থায়ী হবে। তবে এই রবিবার রাত কিন্তু ভারতীয় রবিবার রাত নয়। মার্কিন মুলুকের রবিবার রাত।
এই সৌরঝড় পৃথিবীর ক্ষতি করেছে ঠিকই, তবে তা সরাসরি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ওপর প্রভাব ফেলেনি। বরং বিশ্বের কয়েকটি অংশের সাধারণ মানুষ এক বিরল অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলেন এই সৌরঝড়ের হাত ধরে।
যাঁরা তাঁদের শহরে বা গ্রামে বসে রাতের আকাশে নর্দার্ন লাইটস দেখার কথা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি, তাঁরাও সেই রঙিন আলোর খেলা রাতের আকাশে দেখার বিরলতম অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারলেন। ভারতের লাদাখের আকাশেও সেই আলো দেখতে পাওয়া গেল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।