জুমবাংলা ডেস্ক : দিনভর খুনসুটি, সেই সঙ্গে কিচির-মিচির শব্দ, কখনো ঝাঁক বেঁধে নান্দনিক কসরতে ডানা মেলে নীল আকাশে ওড়োউড়ি। অগণিত পাখির কিচির-মিচির শব্দে ঘুম ভাঙছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
প্রতিবছরের মত এবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের ময়নাদ্বীপ মুখর অতিথি পাখির কলতানে। ধূসর রঙের হরেক প্রজাতির এসব অতিথি পাখি নোবিপ্রবির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে নোবিপ্রবির পাখির এ কলতান উপভোগ করতে সকাল-বিকেল ভিড় করছে পাখি প্রেমীরাও।
এ দৃশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মনে যেমন প্রশান্তি আনছে, ঠিক তেমনি মনোযোগ আকর্ষণ করছে স্থানীয় দর্শনার্থিদেরও।
প্রতিবছর শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি পাখি আসতে শুরু করে। সাধারণত শীতে পূর্ব ইউরোপ, সাইবেরিয়া, মধ্য এশিয়া, চীন, উত্তর মিয়ানমার, কাশ্মীর, সুদূর সাইবেরিয়া থেকে এই পাখিরা আসে। নোবিপ্রবির ময়নাদ্বীপ নিরাপদ আশ্রয়স্থল হওয়ায় অতিথি পাখিরা এখানে অবস্থান করে।
অতিথি পাখির আবাসস্থল নিরাপদ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে প্রথমবারের মত এবার জনসচেতনতা ব্যানার টানানো হয়েছে। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অতিথি পাখিদের অতিথির মতোই বরণ করে নিয়েছে।
ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ময়নাদ্বীপকে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে পাখিদের সুরক্ষায় সকলপ্রকার ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে তারা।
এসব অতিথি পাখি শীতপ্রবণ উত্তর মেরু থেকে নিজেদের বাঁচাতে শুধু ডানায় ভর করে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে আসে আমাদের দেশে। আবার শীতের শেষ দিকে এরা ফিরে যায় আপন ঠিকানায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।