জুমবাংলা ডেস্ক : বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় বাঘাইড় মাছ শিকার ও বিক্রি নিষিদ্ধ। তবুও যমুনা নদী থেকে শত শত মহাবিপন্ন বাঘাইড় মাছ শিকার করা হচ্ছে। অবাধে বিক্রি হচ্ছে মাদারগঞ্জ উপজেলার সদরে।
যমুনা নদীতে মাছ শিকারে জড়িত জেলেরা জানান, শীত মৌসুমে প্রতিবছর বড় বড় বাঘাইড় মাছ পাওয়া যায়। এই মাছ নিষিদ্ধ কি না তারা জানেন না। তবে মাছগুলো অনেক দামে তারা মাদারগঞ্জ উপজেলার কয়েকজন আড়ৎদারের কাছে বিক্রি করে থাকেন।
মাদারগঞ্জ উপজেলার প্রধান বাজার বাালজুড়িতে ঘুরে জানা গেছে, প্রতিদিন এ বাজারে বড় বড় বাঘাইড় মাছ পাওয়া যায়। মাছগুলো ৩০ কেজি থেকে ১০০ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। বর্তমানে ১ হাজার টাকা থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় এই মাছ।
গত কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীতে জেলেসহ বিভিন্ন লোকের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এক শ্রেণীর মাছ শিকারি পাগলা বড়শি বা বিশেষ ধরনের জাল দিয়ে এই মাছ ধরেন। আগেকার দিনে ১০০ থেকে ২০০ কেজি ওজনের মাছ পাওয়া গেলেও এখন তা পাওয়া যায় না। একসময় বড় বড় ওজনের মাছ শিকার করে গরুর গাড়িতে বাজারে নেওয়া হতো। তবে এখন শীত মৌসুমে এই মাছ বেশ পাওয়া যাচ্ছে।
জানা গেছে, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিারপত্তা) আইন ২০১২ এর তফসিল ২ অনুযায়ী এ প্রজাতির মাছটি সংরক্ষিত। এই আইন অনুযায়ী মহাবিপন্ন বাঘাইড় মাছ শিকার, কেনাবেচা, পরিবহন কিংবা দখলে রাখা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড হতে পারে।
এ ব্যাপারে বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র কর্মকর্তা রথীন্দ্র বিশ্বাস জানান, বাঘাইড় মাছ বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত। তা শিকার ও বিক্রি নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জামালপুর জেলায় পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা উন্নয়নকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম জানান, বাঘাইড় শিকার জীববৈচিত্র বিপন্ন করার অপচেষ্টা। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে চরম প্রতিবন্ধকতা। এ ধরনের মাছ বা প্রাণী শিকার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।