জাতীয়ভাবে দেশে ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ‘পূর্ণাঙ্গভাবে’ চালু হচ্ছে কয়েক বছর ধরে আটকে থাকা ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)।

সেবাটি চালুর ফলে মোবাইল ফোনে লেনদেন বা এমএফএস জালিয়াতি, ইকেওয়াইসি জালিয়াতি, সিম প্রতারণা ও স্ক্যাম প্রতিরোধ, সর্বোপরি টেলিকম খাতের নিরাপত্তা ও রাজস্ব সুরক্ষা অটুট হবে বলে মনে করছে এই সেবার দায়িত্বে থাকা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিটিআরসি’র সম্মেলন কক্ষে এই ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি বলেন, যারা এমএফএস প্রতারণা, স্ক্যাম বা ডিজিটাল জালিয়াতি এবং যৌন হয়রানির ঘটনার বেশিরভাগই ঘটে মোবাইলফোন ব্যবহার করে। একজনের নামে বেশি সিম থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেগ পেতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য ৭৩ শতাংশ এমএমএস প্রতারণা হয় অবৈধ মোবাইলফোন ব্যবহার করে।
তিনি আরও বলেন, এটি ব্যবহার করলে মোবাইল ছিনতাই কমবে। সরকারের হারানো ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা যাবে। এনইআইআর চালু হলে গ্রে হ্যান্ডসেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বিটিারসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক জানান, টাওয়ারের অধীনে হ্যান্ডসেটে যুক্ত সিমগুলো হোয়াইট, ব্লাক, গ্রে ও রোমিং ক্যাটাগরিতে বিন্যস্ত হবে। এনইআইআর চালু হওয়ার আগের সব সেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিমের বিপরীতে নিবন্ধিত হবে। এতে ক্লোন ও অবৈধ ফোনও নিবন্ধিত হয়ে যাবে। ফোন কাউকে দেওয়া হলে ডিরেজস্ট্রেশন করা হবে। বিটিআরসির ওয়েব থেকে পুরো প্রক্রিয়া চলবে।
আইএমআই বৈধতা যাচাইয়ে ১৬০০২ এবং নিবন্ধনের জন্য ১৬১৬১ এ মেসেজ পাঠাতে হবে বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



