বিনোদন ডেস্ক : অভিনেতা ও নাট্য নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাবের অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রী জেবা জান্নাত। সম্প্রতি তাকে নিষিদ্ধ করেছে টিভি নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। মঙ্গলবার (২০ জুন) থেকে তার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। তার আগেই দোদুলের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাবের অভিযোগ তুললেন জেবা।
এই অভিনেত্রীর দাবি করেছেন, তিনি সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের সঙ্গে কয়েকটা কাজ করেছেন। তারপর থেকে নির্মাতা দোদুলের স্ত্রী লাজুক একটা সিরিয়ালে কাজের কথা বলেন। তিনি রাজিও হয়েছেন। কিন্তু কাজটা করতে গিয়ে কিছু সমস্যায় পড়েন। অনেক রাত পর্যন্ত শুটিং করালেও তারা জেবাকে কোনো ধরনের ট্রান্সপোর্ট দিতেন না।
এ প্রসঙ্গে জেবা বলেন, এটা বছর খানেক আগের ঘটনা। সে সময় নিয়ম ছিল, রাত ১১টার পর শুটিং করা যাবে না। তারপরও তারা গভীর রাত পর্যন্ত শুটিং করাতেন। অথচ চাইলে সন্ধ্যায়ও শুটিং করতে পারতেন। প্রথম কয়েক দিন কাজ করলেও পরে ট্রান্সপোর্ট অসুবিধার কারণে আমি তাদের বলি, এই কাজটা আর করতে পারব না। আমি দুই-তিন দিন শুটিংয়ে যাইনি। এরপর তারা আমাকে বুঝিয়ে আবারও শুটিংয়ে ফেরান। বলেন, তারা আমাকে দ্রুত ছেড়ে দেবেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি।’
তিনি আরও বলেন, শেষের দিকে একদিন আমার শুধু একটা দৃশ্য বাকি ছিল। কিন্তু তারা ট্রান্সপোর্ট না পাঠানোয় আমি যেতে পারিনি। এ কারণে তারা আমাকে হুমকি দেন যে, আমার মিডিয়ায় কাজ করা বন্ধ করে দেবেন। এসব কারণে আমি পরে ওনাদের সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দেই।’
নির্মাতা দোদুল তাকে কুপ্রস্তাব দেন বলে অভিযোগ করে জেবা জানান, ওই ঘটনার পর দোদুল ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি যদি ওনার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াই তাহলে সবকিছু ঠিক করে দেবেন। সেই প্রস্তাব আমি গ্রহণ করিনি। এরপর থেকেই ওনারা আমার পেছনে লেগেছেন। শুধু আমার সঙ্গে নয়, এমন আচরণ তারা আরো অনেকের সঙ্গেই করেছেন। কিন্তু আমি প্রতিবাদ করেছি বলে আমার বিরুদ্ধে তারা অসহযোগিতা ও অসদাচরণের অভিযোগ এনেছেন। অথচ ওনারাই আমার সঙ্গে অসদাচরণ করেছেন। এদিকে, জেবা জান্নাতের সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন অভিনেতা-নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল।
তিনি বলেন, ‘জেবা আমার সঙ্গে কাজ করেন না কতদিন? ওনাকে টিকটকে দেখে আমার স্ত্রী কাস্ট করে। এরপর জেবা আমার স্ত্রীকে রিকোয়েস্ট করে যাতে আমার নাটকে তাকে কাস্ট করি। আমি তো ওই মেয়েকে চিনতামই না। গভীরভাবে চিনিও না। সে রকম পরিচিতও না। আমার স্ত্রীর মাধ্যমে তার সঙ্গে পরিচয়। এরপর আমি তাকে নাটকে নেই। এখন সে যে অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এত বছরের ক্যারিয়ার আমার, আমি খুব নীরবে-নিঃশব্দে কাজ করি। আমি দোষী হলে সে কেন আমার বিরুদ্ধে এতদিন অভিযোগ করেনি?
তিনি আরও বলেন, জেবা হয়তো ভাইরাল হতে চাচ্ছে। কিংবা তার নিষেধাজ্ঞার গুরুত্ব কমাতে এ ধরনের অভিযোগ করছে। সে আমার স্ত্রীর সঙ্গেও অনেক দিন কাজ করে না। ডিরেক্টরস গিল্ড থেকে যখন তাকে ডেকেছে, তখন কেন সে অভিযোগ করেনি? আমার স্ত্রী লাজুক যে নাটক বানিয়েছে, সেই নাটকের শুটিংয়ে তো আমি এক সেকেন্ডের জন্যও যাইনি। অনেক দিন জেবার সঙ্গে আমার ফোনে কিংবা সামনাসামনিও যোগাযোগ নেই। আমি আমার জীবন ও কাজকর্ম নিয়ে আছি। জেবা একাই আমাকে খারাপ বানিয়ে দিলেন! আমি এত বছর ধরে কাজ করি মিডিয়াতে, আর কেউ তো খারাপ বলল না! প্রসঙ্গত, আফরান নিশোর সঙ্গে তার ‘ক্রস কানেকশন’ নাটকের একটি ক্লিপ ভাইরাল হয়। এ ছাড়া ‘পার্টনারশিপ আনলিমিটেড’, ‘রিকশাওয়ালার প্রেম’সহ বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।