বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম একজন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। অমিতাভ বচ্চনের পুত্রবধূ এবং নিজেও একাধিক হিট হিন্দি সিনেমাতে কাজ করে ভারতীয় দর্শকদের মধ্যে নিজের পরিচিতি ধরে রেখেছেন এ অভিনেত্রী।
বর্তমানে সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায় না এই অভিনেত্রীকে। সম্প্রতি তার বিচ্ছেদের গুঞ্জনে সরগরম মিডিয়া। কখনো শোনা যাচ্ছে— শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। আবার কখনো দেখা যাচ্ছে— বিয়ের আংটি খুলে ফেলেছেন অভিষেক। পরক্ষণেই আবার একসঙ্গে হাতে হাত রেখে চলতে।
১৬ বছর আগে অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করে বচ্চন পরিবারে পা রেখেছিলেন ঐশ্বরিয়া। তার পর থেকে ঐশ্বয়া রাই বচ্চন নামেই পরিচিত তিনি। শাশুড়ি জয়া বচ্চন ও ননদ শ্বেতা বচ্চন নন্দার সঙ্গে নাকি ভালো সম্পর্ক না ঐশ্বরিয়ার— এ খবর শোনা গেছে অনেক বার। গত কয়েক মাসে আরও বেড়েছে সেই গুঞ্জন।
এমনকি এখন নাকি অভিষেকের সঙ্গেও অশান্তি চলছে ঐশ্বরিয়ার। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে নাকি মায়ের কাছেই থাকছেন তিনি। এসব গুঞ্জনের মধ্যে ফের মুখ খুললেন অমিতাভকন্যা শ্বেতা।
করণ জোহরের ‘কফি উইথ করণ’-এ ভাই অভিষেকের সঙ্গেই এসেছিলেন শ্বেতা। সেখানে শ্বেতাকে করণ প্রশ্ন করেন— ঐশ্বরিয়ার কোন গুণ তাকে মুগ্ধ করে; তার কোন কোন বিষয়ে তিনি বিরক্ত হন। বচ্চনকন্যা বলেন, ঐশ্বরিয়া আত্মনির্ভর ও আত্মবিশ্বাসী একজন অভিনেত্রী, আর মা হিসেবে ভীষণ ভালো। তবে ভাইয়ের বউয়ের ‘দোষ’ ধরতেও ছাড়েননি তিনি।
শ্বেতার কথায়, ঐশ্বরিয়ার সময়জ্ঞান আমি কিছুতেই সহ্য করতে পারি না। আর ও কিছুতেই আমাকে কলব্যাক করে না। এই বিষয়টায় আমি খুব বিরক্ত হই।
এখানেই থামেননি শ্বেতা। করণ প্রশ্ন করেন, অভিষেক ও ঐশ্বরিয়ার মধ্যে কে বেশি ভালো অভিনেতা। করণের প্রশ্নের উত্তর দিতে বিশেষ সময় নেননি শ্বেতা। মুহূর্তের মধ্যেই শ্বেতা জানান, অভিনেতা হিসেবে অভিষেকই বেশি ভালো। বোনের উত্তর শুনে রীতিমতো অবাক অভিষেক নিজেও।
অভিষেকের সঙ্গে অশান্তি, মেয়েকে নিয়ে ছেড়েছেন শ্বশুরবাড়ি। এখন সাবেক ‘বন্ধু’ ঐশ্বরিয়ার। বলিউডপাড়ায় শোনা যাচ্ছে— দিন দিন নাকি তিক্ততা বেড়েই চলেছে ঐশ্বরিয়া ও শ্বেতার মধ্যে। চলতি বছরের দীপাবলির অনুষ্ঠানে মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে শহর ছেড়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। সেই সময় তার জায়গায় অমিতাভের সঙ্গে দীপাবলির পুজোয় অংশগ্রহণ করেছিলেন শ্বেতাই। শোনা যাচ্ছে, সে কারণে নাকি আরও অশান্তি বেড়েছে তাদের মধ্যে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।