জুমবাংলা ডেস্ক: কীর্তিমান পি কে হালদার এর জীবনকাহিনী যতই পরিস্ফুটিত হচ্ছে তদন্তকারী ইডি অফিসারদের স্ক্যানারে, ততই তাঁরা বিস্মিত হয়ে যাচ্ছেন। পি কে হালদারের বাবা ছিলেন দর্জি, মা স্কুল শিক্ষিকা। বাংলাদেশের পিরোজপুরের নাজিরপুরের একটি গ্রামে দিন আনি দিন খাই অবস্থা ছিল তাঁদের। দীঘিরজান প্রাইমারি স্কুলের মেধাবী ছাত্রটির চোখে ছিল লোভ আর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আকাঙ্খা। জীবনে কোনও দিন সেকেন্ড হননি পি কে হালদার ওরফে প্রশান্ত। এসএসসি পরীক্ষা খুব ভালোভাবে উত্তীর্ণ হয়ে এক সময় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে ভর্তি হন। সেই পড়াশোনা ছেড়ে ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস এডমিন্সট্রেশন থেকে এমবিএ করেন। এরপর ব্যাঙ্কিং সেক্টরে যোগদান এবং অবিলম্বে ম্যানেজ মাস্টার বলে পরিচিতি লাভ করেন।
১০ বছরের ব্যাঙ্কিং অভিজ্ঞতা নিয়ে রিলায়েন্স ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশন এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হন ২০০৯ সালে। ২০১৫ সালে এন আর বি গ্লোবাল ব্যাংক এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর। টাকা সাইফনিং এবং দানধ্যান একসঙ্গেই চলতে থাকে।
মায়ের নামে স্কুল করেন গ্রামে। কিন্তু, এই স্কুল করতে গিয়েই প্রথম পি কে হালদার এর স্বরূপ বুঝতে পারেন পিরোজপুর-নাজিরপুরের প্রভাবশালী ব্যক্তি আমজাদ খান। গ্রামে স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে জুতোপেটা করেন আমজাদ এই পি কে হালদারকে। আর কোনোদিন গ্রামমুখী হননি তিনি। এরপর বিলাসবহুল জীবন, দামি গাড়ি, বান্ধবী- ইডি মিল খুঁজে পাচ্ছে সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুন্ডুর জীবনের সঙ্গে। কিংবা কে বলতে পারে এদের জীবন হয়তোবা একই ছাচে গড়া!
সূত্র: মানবজমিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।