জুমবাংলা ডেস্ক : প্রতিবারের মতো এইবারও পাবনা জেলায় ব্যাপক পরিমাণে লিচু চাষ হয়েছে। এ বছর জেলায় ৫০০ কোটি টাকার লিচুর উৎপাদনের আশা করছেন কৃষকরা। জেলার সব উপজেলা গুলোতে লিচু বাগানের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। প্রতিটি লিচু গাছে ফুটেছে মুকুল। চাষিরা লিচু চাষে ভালো লাভের আশা করছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, চাষিরা লিচু গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইশ্বরদী সদর উপজেলাসহ জেলার ৯ উপজেলায় লিচু উৎপাদন হচ্ছে। মাঠ বাগান ছাড়াও আনাচে-কানাচে, বাড়ির আঙ্গিণায় লিচু গাছ দেখা যাচ্ছে। বেশীরভাগ লিচু গাছে ফুটেছে ফুল। বড় গাছের চেয়ে মাঝারি ও ছোট ক্যাটাগরির গাছে বেশি মুকুল আসে। সেই ফুল পরিচর্যা করতে চাষিরা অনেক বেশি যত্নবান এবং ব্যস্ত দিন পার করছেন। কয়েকটি গাছে কোমল লিচু দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশি লিচু গাছে গুটি আশা শুরু হয়েছে। এ বছর লিচু চাষে ভালো লাভের আশা করছেন কৃষকরা।
ইশ্বরদী উপজেলার আওতাপাড়া এলাকার লিচু চাষি আতিয়ার রহমান বলেন, এই এলাকার মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লিচু চাষে উপযোগী। এই এলাকার লিচু খেতে খুব সুস্বাদু। আমার ২৩টি লিচু গাছের মধ্যে ১৮টি গাছে লিচুর গুটি এসেছে। এ বছর লিচু চাষে লাভবান হতে পারবো বলে আশা করছি।
পাবনা সদর উপজেলার চক উপ্রগড় গ্রামের আদর্শ কৃষক আব্দুস আবুল কালাম আজাদ বলেন, এখন আবহাওয়া খুবই ভালো, তাপমাত্রাও অনেক ভালো। তাই আমরা ভালো ফলনের আশা করছি। কিন্তু তাপমাত্রা বেশি হলে তা উৎপাদনের জন্য বড় ধাক্কা হবে।
জেলা কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, আমরা কৃষকদের বাগানের পাশাপাশি মুকুলের পর গুটির পরিচর্যা করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। লিচু গাছে এ সময় অ্যানথ্রাক্স সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তাই কৃষকদের এ সংক্রান্ত ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তওে সদ্য যোগদানকৃত উপপরিচালক মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে গত বছরের তুলনায় এবার লিচুর উৎপাদন ভালো হবে বলে জানান। এ বছর জেলায় ৪০০-৫০০ কোটি টাকার লিচু উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।