জুমবাংলা ডেস্ক : পদ্মা সেতুর কারণে বাংলাদেশে বাড়ছে ইন্টারনেটের গতি। এর ফলে উপকৃত হবে বাংলাদেশের মানুষ। পদ্মা সেতুর নিচ দিয়েই নিয়ে যাওয়া হয়েছে Gas Transmission Pipeline এবং Power Transmission Line। বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মুস্তাফা জাব্বার জানান, সেখানে যে কেবল পাতা হয়েছে তার ফলে সেখানের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা লাভবান হবেন। কারণ তাঁদের ইন্টারনেটের গতি আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে ঢাকার সঙ্গে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার যোগাযোগ বাড়ছে। এখন সহজে এবং কম সময়েই খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর এলাকা থেকে যাতায়াত করা যাচ্ছে ঢাকা। পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলেই আরও কম সময়ে এই পথ যাতায়াত করা যাবে। শুধুমাত্র তাই নয়, পদ্মা সেতুর কারণেই বাংলাদেশে গতি বাড়ছে ইন্টারনেটেরও। কারণ, Bangladesh Telecommunications Company Limited (BTCL) এই পদ্মা সেতুর নিচেই পেতেছে ফাইবার অপটিক কেবল। ঢাকা থেকে সাবমেরিন কেবল নিয়ে যাওয়া হয়েছে কুয়াকাটা। কারণ সেখানেই আছে submarine cable landing station।
আগে ঘুর পথে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই কেবল। বাংলাদেশে ইন্টারনেট প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে এই জন্য কেবল পাততে হয়েছিল প্রায় ৬০৫ কিলোমিটার। কিন্তু এখন ঢাকার সঙ্গে পদ্মা সেতু হয়ে কুয়াকাটার দূরত্ব কমে হয়েছে মাত্র ২৯৫ কিলোমিটার বলে জানান BTCL-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর Md Rafiqul Matin। মতিন জানান, এর ফলে আরও গতি আসবে ইন্টারনেটের (faster internet)।
আধিকারিকরা জানান, পদ্মা সেতুর নিচ দিয়েই নিয়ে যাওয়া হয়েছে Gas Transmission Pipeline এবং Power Transmission Line-ও। বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মুস্তাফা জাব্বার জানান, সেখানে যে কেবল পাতা হয়েছে তার ফলে সেখানের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা লাভবান হবেন। কারণ তাঁদের ইন্টারনেটের গতি আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে। Mustafa Jabbar জানান, নতুন যে পদ্ধতিতে কেবল পাতা হয়েছে তাতে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেক কমে যাবে। আর এই সুফল পাবেন ব্যবহারকারীরা।
আধিকারিকরা জানানা, পদ্মা সেতুর নিচে দিয়ে ফাইবার অপটিক কেবল সহ অন্যান্য পাইপলাইন নিয়ে যাওয়ার জন্য ৬৩ মিলিমিটার ডায়ামিটারের আটটি ducts রাখা হয়েছে।এখন ঢাকার সঙ্গে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে যুক্ত আছে মাদারিপুর, ফরিদপুর, মাগুরা, কুষ্টিয়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল এবং গাজীপুর। এটা অনেক ঘুর পথ। কিন্তু পদ্মা সেতুর নিচের ওই কেবল দিয়ে কুয়াকাটা থেকে মাদারিপুর হয়ে একেবারে সরাসরি যুক্ত হচ্ছে ঢাকা।
সূত্রের খবর, চলতি বছরের মার্চ মাসে Bangladesh Submarine Cable Company Ltd (BSCCL) কুয়াকাটার ওই কেবল স্টেশন থেকে সরবরাহ করেছে ১৪০০ Gbps । ২০২৫ সালের মধ্যে সেখানে থেকে ১৩,৩০০ জিবিপিএস পাবে ওই সংস্থা। কুয়াকাটায় গড়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় undersea cable। সেখানের South East Asia-Middle East-Western Europe 5 (SEA-ME-WE 5) টি করা হয় ২০১৭ সালে। সেখান থেকে এখন পদ্মা সেতুর নিচ থেকে নিজেদের অপটিক কেবল নিয়ে আসার দাবি করছে ইন্টারনেট প্রদানকারী বেসরকারি সংস্থাগুলি। কারণ, তাহলে তাদের গ্রাহকরাও উচ্চগতির ইন্টারনেট পেতে পারবেন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।